কলেজ স্কোয়ারে দুই বাংলার শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে শুরু দশম বাংলাদেশ বইমেলা

বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি: কোভিডকালে দু’বছর বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হল দশম বর্ষের ‘বাংলাদেশ বইমেলা কলকাতা ২০২২’। তিন-তিনবার জায়গা বদলের পর বাংলাদেশ বইমেলা এবার বসল বইপাড়ার প্রাণকেন্দ্রে, কলেজ স্ট্রিট সংলগ্ন কলেজ স্কোয়ারে।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির উদ্যোগে, বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহযোগিতায় এবং কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় দশদিনের এই মেলা চলবে ১১ ডিসেম্বর অবধি।
শুক্রবার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মণি এমপি। উদ্বোধনী আসরে সম্মানিত অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
তিনি বলেন, ‘পাসপোর্ট, ভিসা সব কিছু থাকবে, কিন্তু তার মধ্যে একটা শব্দই আমাদের সবাইকে জুড়তে পারে, তার নাম বই। নোবেলজয়ী লুই বর্হেস বলেছিলেন, ‘আমি জীবনের বেশির সময় বইয়ের সঙ্গে কাটিয়েছি। বইসঙ্গে থাকার যে পার্থিব আনন্দ তা অন্য কিছুতেই পাওয়া যায় না, নারীসঙ্গতেও নয়। বিশ্বের সর্বত্র নারীদের দমিয়ে রাখা চলছে। নারীবিদ্বেষ বাড়ছে। এই অবস্থায় দুই বাংলার শীর্ষে রয়েছেন দুজন নারী। তাঁরা আন্দোলনপ্রসূত বাস্তবতা থেকে উঠে এসেছেন। অনেক চক্রান্ত, বিদ্বেষ, বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরাই দুই বাংলাকে পথ দেখাচ্ছেন।’
উদ্বোধনী আসরে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের জাতীয় সংগীত এবং পশ্চিমবঙ্গের ‘রণপা’ নৃত্য ছিল দুই বাংলার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের মধুর নজির। কলেজ স্কোয়ারের দিঘি চত্বর উদ্বোধনী মিছিলের সঙ্গে প্রদক্ষিণ করেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, চমৎকার পরিবেশ, কলকাতার বিখ্যাত বইপাড়ায় মেলা হচ্ছে এটা বড় পাওনা।
প্রথম বছরের মতো এবারের মেলাও উৎসর্গিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পূর্তির স্মৃতিতে। মেলাপ্রাঙ্গণে হয়েছে তাঁর ছবিতে সাজানো ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’। মেলায় যোগ দিয়েছে বাংলাদেশের ৭৫টি প্রকাশন সংস্থা। প্রতিদিন মেলামঞ্চে লেখক-প্রকাশক-পাঠক মুখোমুুখি, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন দুই দেশের কবি-লেখক-শিল্পীরা। বস্তুত দু’দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতিপ্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত এই মেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ রাজ্যে বাংলাদেশের বইয়ের চাহিদা বৃদ্ধি, বাংলাদেশের লেখকদের পরিচিতি এবং বই আদানপ্রদান বেড়ে চলেছে।
আসর সভাপতি ছিলেন কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের উপ-রাষ্ট্রদূত আন্দালিব ইলিয়াস।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কলকাতার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, পুরমাতা সুপর্ণা দত্ত, দেজ পাবলিশিংয়ের কর্ণধার সুধাংশুশেখর দে প্রমুখ বিশিষ্ট জনেরা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি সৌম্য সিংহ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.