কর্মচাঞ্চল‍্য পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়নের বিদায়ে রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: বিদায় ফুলের হক আর চোখের পানি বা ভালোবাসাতে হক? বিদায়ঃ মানবজাতির জীবনের অনিবার্য বাস্তবতা ! বাংলা বর্ণের তিন অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ-বিদায়। মাত্র তিন অক্ষর। কিন্তু শব্দটির আপাদমস্তক বিষাদে ভরা। শব্দটা কানে আসতেই মনটা কেন যেন বিষন্ন হয়ে ওঠে। এমন কেন হয়? কারণ এই যে,বিদায় হচ্ছে বিচ্ছেদ। আর প্রত্যেক বিচ্ছেদের মাঝেই নিহিত থাকে নীল কষ্ট। বিদায় জীবনে শুধু একবারই নয়, এক জীবনে মানুষকে সম্মুখীন হতে হয় একাধিক বিদায়ের। সে-ই যে জন্মলগ্ন থেকে বিদায়ের সূচনা, তারপর জীবন পথের বাঁকে বাঁকে আরো কত বিদায় যে অনিবার্য হয়ে আসে। সে বিদায় বেলা একজন ইউএনও যিনি ছিলেন পলাশবাড়ী উপজেলার সকল পেশার মানুষের ভালোবাসার প্রিয় একজন মানুষ যত টুকু মনে পড়ে। করোনা ভাইরাসের সময়ে ও বতর্মানে খুব অল্প সময়েই পলাশবাড়ী উপজেলাবাসীর মন জয় করে ফেলেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান নয়ন। তার কর্ম দক্ষতার মধ্যে দিয়ে পলাশবাড়ী মাটিও মানুষের সেবায় প্রতিনিয়ত কাজ করেছেন তিনি।
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নেও থেমে নেই গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার এ কর্মচঞ্চল্য ইউএনও। আজ সোমবার (১০ জুলাই) বিকেলে পলাশবাড়ী উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে বিদায়ী অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বক্তব্য কালে বলেন, প্রায় তিন বছর কর্মসাফল্য পলাশবাড়ী উপজেলাবাসীর কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এ কর্মসময়ে সকলের সাথে আপনার ছিল সুন্দর পরামর্শ ও সমন্বয় নিয়ে সুন্দর পলাশ ফুলের পলাশবাড়ী উপজেলা করতে কাজ করেছেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে।উদার মনের নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান নয়ন মহোদয়কে রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাই। তিনি বিদায়ী ইউএনও’র কর্মস্মৃতিচারণের বিভিন্ন দিগ আলোচনা করে বলেন, পলাশবাড়ী উপজেলা “কোন মানুষ কোনদিন ভুলবে”না আপনাকে-! আজও উপজেলার বিভিন্ন সেক্টর থেকে এ নির্বাহী অফিসার’কে ফুলে ফুলে বিদায় জানিয়েছেন।
বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার যে ভাবে পাশে ছিলেন মানুষের,এলাকা থেকে জানাযায়,বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার কিশোরগাড়ী,হোসেনপুর,হরিনাথপুর ও মনোহরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন ও তাদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন নিজে নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান নয়ন। এর মাঝে কালবৈশাখী ও বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এক মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছিলেন। গতমাসে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের ঝড়ের আঘাতে উড়িয়ে নেওয়া ঘরবাড়ি হারা মানুষকে ঢেউটিন, সরকারের দেওয়া নগদ অর্থ তাদের হাতে পৌঁছে দেন।
করোনার সময়ে উপজেলার মানুষকে করোনাভাইরাস মুক্ত রাখতে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম শুধু করে নাই। একজন পরিশ্রমী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান নয়ন করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পলাশবাড়ী উপজেলার প্রতিটি এলাকায় গিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক আইন সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য কাজ করতেন বিরামহীনভাবে।
কাজে-কর্মে কখনো তিনি ক্লান্তি বোধ করিনি। হাসিমুখে সবার সাথে করেছেন সদাচরণ।তাইতো ছিলেন সকলের প্রিয় নির্বাহী কর্মকর্তা সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতেন। পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গেলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ অনেকে বলতেন, স্যার একজন উদার মনের মানুষ।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন বলেন, আমি কৃতজ্ঞ পলাশবাড়ী উপজেলাবাসীর কাছে,তারা আমাকে সর্বাত্বক সহযোগিতা করেছে। সরকার আমার উপর যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন,সেটাই সততার সাথে পালন করার চেষ্টা করেছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মো: শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.