বিটিসিআন্তর্জাতিকডেস্ক: চীনের কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভিডিওতে সন্দেহভাজন কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য সার বেধে রাখা ধাতব বাক্স আর কোয়ারেন্টিন শিবিরে মানুষ নিয়ে যাওয়া বাসের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। কোনও ছবির দৃশ্য বলে মনে হলেও এগুলো আসলে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চীনের নেওয়া কঠোর পদক্ষেপের অংশ।
‘জিরো কোভিড’ নীতির আওতায় নাগরিকদের ওপর বেশ কয়েকটি কঠোর নিয়ম আরোপ করেছে চীন। আগামী মাসে শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বেইজিং। আর তা বাস্তবায়নে লাখ লাখ মানুষকে কোয়ারেন্টিনে রেখেছে দেশটি।
গর্ভবর্তী নারী, শিশু, বয়স্ক, পুরুষ সকলকেই বিশেষ ধাতব বাক্সে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। এসব বাক্সে কাঠের একটি বিছানা ও টয়লেট যুক্ত রয়েছে। কোনও এলাকায় একজনের করোনা শনাক্ত হলে সেখানকার সবাইকে এসব বাক্সে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্য রাতের পর বাড়ি ছেড়ে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যেতে বলা হয়েছে।
চীনে বাধ্যতামূলকভাবে ট্র্যাক অ্যান্ড ট্রেস অ্যাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে করোনা রোগীদের ঘনিষ্ঠদের শনাক্ত করা হয় এবং দ্রুত কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
চীনে বর্তমানে দুই কোটি মানুষ ঘরে বন্দি রয়েছে। এমনকি তাদের খাবার কিনতেও বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
সম্প্রতি কঠোর লকডাউনের কারণে চিকিৎসা নিতে বিলম্ব হওয়ায় চীনের এক গর্ভবর্তী নারীর ভ্রূণ নষ্ট হয়েছে। এনিয়ে দেশটির ‘জিরো কোভিড’ নীতির সীমা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
২০১৯ সালে চীনে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটি কঠোর লকডাউন এবং তাৎক্ষণিকভাবে গণপরীক্ষা সম্পন্ন করে। অন্য যেকোনও দেশে অপেক্ষাকৃত কম তীব্র লকডাউন হলেও চীনে কেউ ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের কাছে গেলে তাকে ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হয় না বা হোটেল কক্ষে থাকতে বাধ্য করা হয়। (সূত্র: এএফপি)। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.