করোনা নিয়ে দু দেশের মধ্যে অসন্তোষ 

প্রতীকী ছবি
কলকাতা প্রতিনিধি: গোটা বিশ্বে কমপক্ষে ১৭৮টি দেশে থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাস। মারণ-ভাইরাসের শিকার কমপক্ষে ১০ হাজারেরও বেশী। বিশ্বজুড়ে সংক্রমিত প্রায় আড়াই লাখ। উৎস হলেও, সম্প্রতি মৃত্যু-হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চিনে। যাকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO
চিনে করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা নিম্নমুখী হওয়ার খবর স্বস্তির হলেই মারণ-ভাইরাসকে কেন্দ্র করে ফের তলানিতে মার্কিন-চিন সম্পর্ক। একে অপরকে দোষ দিতে পিছিয়ে আসছে না বিশ্বের শক্তিশালী দু’দেশ। সম্প্রতি বেজিংয়ের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ‘চিনে করোনাভাইরাস আমদানী করেছে মার্কিন সেনা।’
এদিকে ‘বিশ্বকে করোনা-সংকটের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য’ সরাসরি চিনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (US President Trump)। তোপ দেগে বলেছেন, “করোনা ভাইরাস (coronavirus)” ‘সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য বেজিং লুকানোর ফলেই আজ বিশ্বকে এর মাসুল দিতে হচ্ছে।’ তাঁর মতে করোনাভাইরাসের উৎস-অঞ্চল চিনের উহান-এর মধ্যে আটকে রাখা যেত। তবে তা না করে, প্রাথমিক স্তরে হুইসলব্লোয়ারদের কণ্ঠরোধ করেছে চিন।’ প্রতিক্রিয়ায় সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের টুইটার থেকে ‘মার্কিন রাষ্ট্রপতি’কে ‘মিথ্যুক’ বলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন ৩ জানুয়ারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সব তথ্য জানানো হয়েছিল। এছাড়াও প্রতিনিয়তই আপডেট করা হয়েছে। আমেরিকা নিজেরা প্রতিক্রিয়ায় দেরী করেছে। আর এখন এর জন্য চিনকে দোষ দেওয়া হচ্ছে।’ তাঁর বক্তব্য ” অতিমারীর বিরুদ্ধে চিনের লড়াইকে ছোট করে দেখাতেই নিশানা করেছে আমেরিকা।’
দুই দেশের দোষারোপের জেরে নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরী হয়েছে কূটনৈতিক সম্পর্কে। প্রসঙ্গত, গত বছরই তলানিতে পৌঁছেছিল মার্কিন-চিন বাণিজ্যিক সম্পর্ক। আশঙ্কা, করোনা-ত্রাসের মধ্যেই পারস্পরিক দোষারোপের ফলে দু’দেশের সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.