করোনায় লালমনিরহাটের দুগ্ধ খামারীরা বিপাকে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: করোনা কালীন সময়ে লক-ডাউন সহ নানাবিধ কারনে গ্রাহকের চাহিদা কম থাকায় লালমনিরহাটের দুগ্ধ খামারীরা তাদের উৎপাদিত দুধ ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারছে না।ফলে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সারা জেলায় ৫ হাজার ৭৮৩টি দুগ্ধ খামার রয়েছে। তম্মধ্যে বড় খামারের সংখ্যা ৭ শত ২৬টি। এ সকল দুগ্ধ খামারে প্রতিদিন ১০ টনের অধিক দুধ উৎপাদিত হয়ে থাকে। দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সাধারণ গ্রাহক, হোটেল-রেস্তোরায় ও অন্যান্য ক্ষেত্রে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারীরা কিছুটা হলেও লাভবান হয়ে আসচ্ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে তারা লোকসান গুনতে বাধ্য হচ্ছে।
কয়েক বছর ধরে জেলায় দুগ্ধ খামারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটে মিল্ক ভিটার কয়েকটি দুগ্ধ চিলিং পয়েন্ট স্থাপনের জন্য খামারীদের পক্ষ থেকে আবেদন নিবেদন করে আসা হচ্ছিল। লাইফষ্টক ডেইরী ডেভলবমেন্ট প্রজেক্ট (এলডিডিপি) এর আওতায় লালমনিরহাটে কয়েকটি দুগ্ধ চিলিং পয়েন্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত রয়েছে। কিন্তু করোনার কারনে প্রকল্পটির অগ্রগতি হচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানায়।
জেলায় যুব সমাজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ও ঋণ নিয়ে যুবকেরা দুগ্ধ খামার স্থাপন করেছে। কিন্তু উৎপাদিত দুধের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে তারা খুব একটা লাভবান হতে পারেনি। এমতাবস্থায় গত ১ বছরের অধিক সময় ধরে কোভিড-১৯ দেখা দেয়ায় দুধের চাহিদা আশংঙ্কা জনক হারে কমে গেছে। তাই দুগ্ধ খামারীরা বিপাকে পড়েছেন।
জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আব্দুল মজিদ এক পত্রে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠিত আত্মকর্মীদের পারিবারিক দুগ্ধ খামারে উৎপাদিত দুধ বিক্রি না হওয়ায় যুবকেরা সমস্যায় পড়েছেন বলে উল্লেখ করেন।এমতাবস্থায় তিনি সাময়িকভাবে রংপুর জেলায় কাউনিয়া দুগ্ধ চিলিং পয়েন্টে দুধ ক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মিল্ক ভিটার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পত্র দিয়েছেন।
তিনি পত্রে উল্লেখ করেন যে, উৎপাদিত দুধের ন্যায্য মূল্য না পেলে প্রশিক্ষিত যুবকেরা নতুন নতুন দুগ্ধ খামার স্থাপনে অনিহা প্রকাশ করবেন।যা যুবকদের আত্ম কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দেখা দিবে। মিল্ক ভিটার ব্যস্থাপনা পরিচালক এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে আশ্বাস দিয়েছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.