করোনায় অবরুদ্ধ কৃষকের ধান কেটে দিলেন ইউএনও !

নাটোর প্রতিনিধি: পরিবারের এক সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নির্দেশে নাটোরের গুরুদাসপুরে আব্দুল আওয়াল নামের অবরুদ্ধ (লকডাউন) এক কৃষকের দুই বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় মাঠ থেকে ধান কেটে ওই কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। এ সময় পুরো বিষয়টি তদারকি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের ধানুড়া গ্রামে কৃষক আব্দুল আওয়ালের মেয়ের করোনা শনাক্ত হয়। পরদিন পরিবারটিকে লকডাউন করা হয়। কৃষকের সারা বছরের খোরাকি যোগান দেওয়া দুই বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তোলা অনিশ্চিত হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে ইউএনওর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুরে গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা ধান কেটে ওই কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দেন।

কৃষক আব্দুল আওয়াল বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, মেয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় কেউ আমার ধান কাটতে এগিয়ে আসেনি। প্রতিবেশীদেরও অনুরোধ করেছি যেনো তারা দূর থেকে আমার বাড়ির দরজার কাছে হলেও ধান কেটে ফেলে দিয়ে যায়। কেউ সাড়া দেননি। পরে বিষয়টি ইউএনওকে জানালে তিনি লোক পাঠিয়ে সব ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন। এই ধানই সারা বছর খাই। ইউএনও স্যার সহযোগিতা না করলে ধান খেতেই পড়ে থাকতো।

ইউএনও তমাল হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, লকডাউনের কারণে কৃষক পরিবারটির অসহায়ত্বে কেউ এগিয়ে আসেনি। মানবিক কারণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমির ধান কেটে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমরা সাধ্যমতো কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.