করোনার ভয় পেছনে ফেলে তিন নদীর মোহনায় জনস্রোত

চাঁদপুর প্রতিনিধি: করোনা সংক্রমণ রোধে চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনা বড়স্টেশন মোলহেডে দর্শনার্থীদের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে প্রশাসন; কিন্তু সেই সরকারি নিষেধাজ্ঞা আর করোনার ভয় উপেক্ষা করেই ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে তিন নদীর মোহনায় ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দিনভর যেন জনস্রোত নামে মোহনায়।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সরকার। আর এই নিষেধাজ্ঞায় ঘর থেকে বের হতে পারবে না ভেবে অনেকেই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গত বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বড়স্টেশন মোলহেডে এসে ভিড় জমান বলে জানান আগত দর্শনার্থীরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার একমাত্র পর্যটনকেন্দ্র তিন নদীর মিলনস্থল বড়স্টেশন মোলহেডে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চাঁদপুর শহর এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা দর্শনার্থীরা মোহনার চারপাশে ঘুরে-ফিরে সময় কাটান। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আসায় সৃষ্টি হয় মিলনমেলা। তবে আগত অধিকাংশ দর্শনার্থীর মুখে ছিল না মাস্ক।
ঈদুল আজহা কেন্দ্র করে মোলহেডে শিশুদের রেলগাড়ি এবং চরকি ঘোড়া থাকায় সেগুলোতে চড়ে দর্শনার্থীরা আনন্দে মেতে ওঠেন। আবার কেউ কেউ নিজস্ব ক্যামেরা কিংবা মুঠোফোনে বিভিন্ন রঙে-ঢঙে সেলফি তোলেন; কিন্তু করোনা পরিস্থিতি খারাপ থাকায় পুলিশ সদস্যরা তাদের সেখান থেকে সন্ধ্যার অনেক আগেই বের করে দেন।
ঘুরতে আসা স্কুলশিক্ষক মেহজাবিন বলেন, করোনার কারণে অনেক দিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। ঈদ উপলক্ষে বড়স্টেশন মোলহেডে এসেছি। চাঁদপুরে তেমন কোনো পর্যটনকেন্দ্র না থাকায় এখানে মানুষ বেশি আসে, যার কারণে ভিড় একটু বেশি।
চাঁদপুর পৌরসভার ৭, ৮, ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস বিটিসি নিউজকে বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এই স্থানে লোকসমাগম এড়াতে কাজ করি। যদিও ঈদ ঘিরে মানুষ বেশি বের হয়েছে। এর পরও আমরা চেষ্টা করছি তাদের বুঝিয়ে বের করে দিতে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহীউদ্দিন বিটিসি নিউজকে বলেন, ঈদে লোকসমাগম যাতে কম হয়, সে জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। এর পরও যেখানে লোকজন ভিড় জমিয়েছে, আমরা সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চাঁদপুর প্রতিনিধি আলী জাকের রেজা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.