করোনার ধকল কাটিয়ে ওঠেছে পাহাড়কন্যা দার্জিলিং

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনার ধকল কাটিয়ে ওঠেছে ভারতের পাহাড়কন্যা দার্জিলিং। টয়-ট্রেন থেকে খাবারের দোকান, ‘মেল’ থেকে রাস্তা, পর্যটকদের ভিড় এখন সব জায়গায়। শুধু ভারতীয়রাই নয়, প্রকৃতির এ অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন বহু বাংলাদেশি পর্যটকও।
সমতল থেকে ভারতের পাহাড়কন্যা দার্জিলিংয়ের উচ্চতা ৭ হাজার ফুটের মতো। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে শৈলশহরে যাওয়ার দুটি পথের একটি রোহনি কার্শিয়াং, অন্যটি মিরিক হয়ে। কার্শিয়াং হয়ে এগোনোর সময় চোখে পড়ে পাহাড়ি ঢালে শিল্পীর তুলির মতো আঁকা বাড়িঘর-দোকান-বাজার-রাস্তা।
মাঝেমধ্যে চোখে পড়ে পাহাড়ের গর্ব হিমালয়ান টয়-ট্রেনের লাইন ধরে এগিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। আর কার্শিয়াং শহরের আট রাস্তার এ মোড়ের ট্রাফিক ব্যবস্থা দেখে বিস্মিত হতে হয় দেশ-বিদেশের পর্যটকদের।
প্রতিদিন গড়ে ছয় থেকে সাত হাজার পর্যটক সমতল থেকে পাহাড়ে উঠে এবং পাহাড় থেকে সমতলে নামে। এ নামা-ওঠার মাঝে কার্শিয়াংয়ে তাদের অনেকটাই সময় কাটে। কেননা এখানে পর্যটকরা প্রকৃতির মাঝে নিজের পরিশ্রান্ত দেহকে তৃপ্ত করেন।
শহরের প্রাণকেন্দ্র ‘মেল’। এখানেই মূলত সবার প্রান্তিক ঠিকানা। মেলে রয়েছে উন্মুক্ত মঞ্চ। খোলা এ জায়গার চারদিকে রয়েছে চেয়ারে বসে আড্ডা আর দার্জিলিং চায়ে চুমুক দেওয়ার মতো স্মৃতি তৈরির ব্যবস্থা।
বেসরকারি হিসেব বলছে, প্রতিদিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে পাহাড়ে ওঠে দুই থেকে আড়াই হাজার জিপ গাড়ি। প্রতিটি গাড়িতে গড়ে ৬ জন করে যাত্রী চড়তে পারেন। সেই হিসেবে প্রতিদিন পাহাড়ে ওঠেন সাড়ে ১৫ হাজার পর্যটক।
একজন পর্যটক গড়ে দুই রাত যাপন করলে দার্জিলিংয়ে অবস্থান করেন দিনে প্রায় ৩০ হাজার পর্যটক। কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের জেলা শহর, ভারতের অন্য রাজ্যের মানুষ ছাড়াও এ পর্যটকদের ১০ শতাংশই বাংলাদেশি।
একজন পর্যটক বলেন, এখানে নিয়মশৃঙ্খলা অনেক ভালো। আমরা দুদিন হলো এসেছি। আমরা এখানে অনেক ভালো আছি।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুবছর করোনার বিধিনিষেধের কারণে ভ্রমণপিপাসু মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেননি। আবার নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই বর্তমানের করোনামুক্ত পরিবেশে তাই দলে দলে পর্যটকদের ভিড় পাহাড়কন্যায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.