করোনাকালে মানবতার ফেরিওয়ালা এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল

বিশেষ (নাটোর) প্রতিনিধি: সংসদ সদস্য তো দূরের কথা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গেই এদেশে মানুষের দূরত্ব যোজন যোজন। যিনি যখনই নির্বাচিত হন, ক্ষমতায় আসীন হয়েই ভুলে যান ভোটারদের অবদান। এটা নতুন নয়, নিত্য ঘটনা। দিন দিন তাই মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে নেতাদের কাছ থেকে।

অবশ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর কর্মীবান্ধব নেতার দেখা মিলেছে ক’জন। বঙ্গবন্ধুর পর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য বাবার আদর্শ লালন করে মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন।

যেখানেই যান তিনি কর্মী বা সাধারণ ভোটারকে বুকে আগলে রাখেন। এমন দৃষ্টান্ত অন্য নেতাদের মধ্যে খুব কম। একেবারে যে নেই তা নয় । করোনাকালে এমনই এক নেতার দেখে পেলেন লালপুর–বাগাতিপাড়ার মানুষ ।

একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি হতে যতগুনাবলি প্রয়োজন সকল গুনাবলী তার মধ্যে দৃশ্যমান। আর তিনি হলেন শহিদুল ইসলাম বকুল । বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নাটোর জেলা শাখার সভাপতি থাকাবস্থায় তুখোড় ছাত্রনেতা সব সময় আলোচিত হয়েছেন মানুষের বিপদে পাশে থেকে। করোনার শুরু থেকে দীর্ঘ সাড়ে চার মাস ধরে তিনি আছেন নির্বাচনী এলাকায় ।

নিজের উপর সরকারের দেয়া অর্পিত দায়িত্ব ক্লান্তিহীন ভাবে পালন করে চলছেন। আর সে জন্য নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সোনালী অর্জন শহিদুল ইসলাম বকুলের প্রশাংসায় ভাসনের লালপুর-বাগাতীপাড়া ।প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধে দেশজুড়ে লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টিন শুরু হলে তিনি তার’ স্ত্রী ও সন্তানকে ঢাকায় রেখে ছুটে আসেন নির্বাচনী এলাকায়।

সেই থেকে এলাকায় অবস্থান নিয়ে রাত-দিন একাকার করে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দু’উপজেলার কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় অর্ধলক্ষাধিক দরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন।

নির্বাচনী এলাকায় মাস্ক ,লিফলেট,মাইকিং আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণে মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। পরিবার পরিজন কে ঢাকায় রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলমত নির্বিশেষে কর্মহীন ও অসচ্ছল মানুষের পাশে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে এসে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া শুরুতেই চালু করেছেন

এ হটলাইনে কেউ ফোন দিলে খাদ্য সামগ্রীর ব্যাগ নিয়ে বকুল এমপি পৌছে যাচ্ছে। একজন সংসদ সদস্য হয়েও চাল, ডাল, আলু, তেল, লবন, সাবান সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর বস্তা নিজের কাঁধে করে নির্বাচনী এলাকার হতদরিদ্রের বাড়ীতে বাড়ীতে পৌঁছে দিচ্ছেন।মানুষকে শুধু মানবিক সহায়তার হাত বাড়াননি। সরকারের ৩১ দফা মেনে চলার জন্য সকলকে সচেতনার লক্ষে গ্রাম-গঞ্জে ছুটে চলেছেন।  দুটি উপজেলায় ব্যাপক খাদ্য সহায়তা এবং হটলাইনের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী পৌছিয়ে দিয়ে মানুষের কাছে সত্যিকার ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ নামেও পরিচিতি লাভ করেছেন।

জানা যায়, করোনা সংক্রমন রোধে প্রশাসনের পাশাপাশি দলীয়ভাবে বকুল এমপির নির্দেশনায় দলীয় নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম ও সহায়তা এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গরীব-দুঃখী মানুষ যেন না খেয়ে থাকে সেজন্য তাদের পাশে থেকে সহায়তা করার চেষ্টা করছি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ভয়াবহ এ দুর্যোগ মোকাবেলায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা করোনা ভাইরাস  এবং বন্যা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক দুস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা করছেন। এর অংশ হিসাবে হতদরিদ্রের বাড়ীতে বাড়ীতে নিজে উপস্থিত হয়ে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন।

সাংসদ বকুল সব সময় বলেছেন,“শাসক নয়, সেবক হয়েই আপনাদের মাঝে থাকতে চাই”।“শপথ নিয়েছি আপনাদের পাশে থাকবো বলে”।
সরকারের ত্রানের পাশাপাশি তিনি দুই দফায় তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে হাজার হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছিয়ে দেন। অনেক পরিবারকে নগদ অর্থও প্রদান করেন। যা এখনো অব্যাহত আছে ।

মানবিক গুনের জন্যই তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ নামে নিজে সুপরিচিতি লাভ করেছেন।

নিজের উপর সরকারের দেয়া অর্পিত দায়িত্ব ক্লান্তিহীন ভাবে পালন করে চলছেন। সামাজিক দূরত্ব মেনে নিজ এলাকায় ব্যাপক কার্যক্রম করছেন।

বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে লকডাউন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষ। এরইমধ্যে হাজার হাজার মানুষের চাকরি চলে গেছে। মধ্য ও নিম্নবিত্তের ঘরে ঘরে চলছে আর্থিক সংকট।

ঠিক এমন সময় দেশের বহু বিত্তবান হাত গুটিয়ে বসে থাকলেও কিছু মানুষ তাদের সহযোগিতার হাত খোলা রেখেছেন ঠিকই। তাদের উদ্দেশ্য আত্মপ্রচার নয়। তারা মানবতার সেবায় নীরবে নিভৃতে সাধারণ মানুষদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এমনই এক মানবতার ফেরিওয়ালাদের একজন হলেন.. নাটোরের বাগাতিপাড়া-লালপুরের ‘মাটি ও মানুষের নেতা’ বলে খ্যাত এমপি  শহিদুল ইসলাম বকুল ।

করোনার শুরু থেকেই পুরোটা সময় জুড়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে নিজের জীবনবাজি রেখে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে দ্বারে দ্বারে ছুটে চলছেন একজন কর্মীবান্ধব নেতা। দুটি উপজেলায় সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে যার প্রথম কাজই হয় গ্রামের হতদরিদ্র যে মানুষটির বাড়িতে চুলা জ্বালানোর সামর্থ্য নেই তার বাড়িতে চাল, ডাল, সবজি, মাছ, মুরগি নিয়ে হাজির হওয়া।

করোনার মধ্যে হঠাৎ কোনো ভিখারির বাড়ি, কোনো রিকশাচালকের বাড়িতে বাজার সদাই নিয়ে হাজির হন নাটোর-১ আসন (বাগাতীপাড়া-লালপুর) সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল এমপি  । সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কর্মের স্থিরচিত্র দেখে কেউ কেউ মন্তব্য করেন লোক দেখানো!

তবে কে কী বললো না বললো সেদিকে কর্ণপাত করেন না বকুল। মাসের পর মাস বছরের পর বছর তিনি সেই কাজটি করেই যাচ্ছেন। কখনো তপ্তরোদে ভ্যানচালকের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন, কখনো বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তায় দিচ্ছেন রিকশাচালকদের হাতে।

মাঠে নেমে কাজ করতেও তার নেই কোনো দ্বিধা ।।তাকে দেখে অনেক নেতাই চেষ্টা করেছেন কর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে। সেটা বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি কেউ। তবে শুরু থেকেই মানুষের মাঝে এমন কাজ করে যাচ্ছেন বকুল ।

এলাকার মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে দিচ্ছেন নানা দিক নির্দেশনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ত্রাণ সামগ্রী সঠিকভাবে বণ্টনের জন্য দু’উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা, মেয়র, ওসি, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সমন্বিতভাবে তালিকা প্রণয়ন করে তিনি তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে নিজ হাতে বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন ।

লালপুর ও বাগাতিপাড়ার উপজেলার এমন কোনো দরিদ্র পরিবার নেই যে পরিবারে তিনি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেননি। তিনি শুরুতে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার এলাকার কাউকে না খেয়ে অভুক্ত থাকতে হবে না। তিনি তার কথা শতভাগ রেখেছেন। এ দু’উপজেলায় ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ দলমত শ্রেণি পেশা নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ পর্যাপ্ত ত্রাণ সমাগ্রী পেয়েছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শিশুদের মাঝে ‘শিশু খাদ্য’ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মাস্ক, পিপিই, হ্যান্ড স্যানেটাইজার ও সাবানসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

‘শুধু ত্রাণ নয়, মহা এ দুর্যোগ মুহুর্তে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে সার্বক্ষণিক কাছে পেয়ে এলাকাবাসী উৎফুল্ল ও অনুপ্রাণিত। অনেকেই মন্তব্য করেছেন তিনি শুধু সংসদ সদস্যই নন সবার কাছে এখন একজন প্রকৃত ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’। প্রাণঘাতি করোনার এ বিপদসংকুল মুহূর্তে মৃত্যুকে ‘পরোয়া’ না করে ভয়কে জয় করে এলাকাবাসীর পাশে সার্বক্ষণিক থেকে তাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ‘করোনা’ জয়ে শক্তি ও সাহস যুগিয়ে রাজনীতিতে তৃনমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়ে উঠে আসা এ সংসদ সদস্য প্রমাণ করলেন তিনি সত্যিকার অর্থেই  একজন খাঁটি দেশ প্রেমিক ‘মাটি ও মানুষের’ নেতা।

এ প্রসঙ্গে  শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে গেছেন। তার সুযোগ্য কন্যা ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মহান সেই পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশ ও জাতির ভাগ্যোন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার সৈনিক হিসেবে আমিও সেই আদর্শকে ধারণ ও লালন করে মানবসেবায় আমৃত্যু কাজ করে যাবো।

একজন এমপি হয়েও সাধারণের সঙ্গে মেশা শহিদুল ইসলাম বকুল কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা হয় এ প্রতিবেদকের একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেন, আমার উদ্দেশ্য এমপি হওয়া নয়। আমার কাজ আমি করে যাবো, মানুষের মাঝে আওয়ামী লীগের আদর্শ পৌঁছে দেবো। তৃণমূল থেকে গড়ে ওঠা দল আওয়ামী লীগ সব সময়ই খেটে খাওয়া মানুষের ভরসাস্থল। মানুষের মাঝে সেই বার্তাই ছড়িয়ে দিতে চাই যা বঙ্গবন্ধু করেছেন।

এই কাজ তো লোক দিয়েও করাতে পারতাম। কেন করিনি? এমপি বকুল বলেন ,মানুষের মাঝে সচেতনতা ফেরাতে চাই, যে আমি এমপি হয়েও কাজকে অবজ্ঞা করি না। আমার দেখা-দেখি সাধারণ মানুষও মাঠে নেমে পড়বে।

যদি মন্ত্রী হন, তাহলে কী মানুষের প্রতি এই ভালোবাসা অটুট থাকবে-  এখন যেটা করছি তার দ্বিগুণ করবো।  পুরো দেশের মানবতার দূত হিসেবে কাজ করবো। আমি দেশ এবং দেশের বাইরে যেখানেই যাবো আমার কাজ একই থাকবে।

শহিদুল ইসলাম বকুল এমপি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমি মানবতার জন্য কাজ করি। মানুষের জন্য কাজ করি। আমার শিকড় এই সাধারণ মানুষ। সুখে-দুঃখে তাদের পাশে ছিলাম বলেই কোথাও পথসভা করতে গেলেও জনসভায় পরিণত হয়ে যায়।লালপুর-বাগাতীপাড়ার জন্য আমার কাজ অব্যাহত থাকবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (নাটোর) প্রতিনিধি মো. নাসিম উদ্দিন নাসিম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.