কম্বোডিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান করেছে থাইল্যান্ড

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কম্বোডিয়ার সঙ্গে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে তৃতীয় কোনো দেশের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি কেবল কম্বোডিয়াকে আক্রমণ বন্ধ করতে এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতির সমাধান করতে জোর দিয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমনটাই জানিয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা সীমান্ত উত্তেজনা এখন ফ্রন্টলাইনের একাধিক স্থানে প্রকাশ্য শত্রুতায় রূপ নিয়েছে। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো গোলাগুলি হয়েছে তাদের।
রয়টার্স জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে সবশেষ কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই থাই নাগরিক।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোরন্দেজ বালানকুরা রয়টার্সকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং মালয়েশিয়া সংলাপের সুবিধার্থে প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু ব্যাংকক এই সংঘাতের দ্বিপাক্ষিক সমাধান চাইছে।
নিকোরন্দেজ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি মনে করি না আমাদের এখনো কোনো তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতার প্রয়োজন আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থানে অটল যে, দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়াই সর্বোত্তম উপায়। এটি দুই দেশের মধ্যে একটি সংঘর্ষ।’
নিকোরন্দেজ বলেন, কম্বোডিয়ান পক্ষকে প্রথমে সীমান্তে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। আমাদের দরজা এখনো খোলা আছে।
কম্বোডিয়ার সরকার এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এ বিষয়ে একটি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি থাইল্যান্ডের ‘অপ্ররোচনাহীন এবং পূর্বপরিকল্পিত সামরিক আগ্রাসন’-এর নিন্দা জানান।
নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য তারা একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবে।
স্থলমাইন বিস্ফোরণে থাই সৈন্য আহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বুধবার থাইল্যান্ড নমপেনে তার রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার এবং কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার একদিন পর এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
থাই কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, কম্বোডিয়া সম্প্রতি মাইনগুলো স্থাপন করেছে। তবে কম্বোডিয়া এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে নাকোচ করে দিয়েছে।
১০ জাতির আসিয়ানের সভাপতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নিকোরন্দেজ বলেন, ‘যদি আসিয়ান পরিবার গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ফিরে আসার সুযোগ করে দিতে চায়, তাহলে সেটা স্বাগত।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.