কবিরহাটে বিয়ে বাড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বাড়ির পাশের দূর সম্পর্কের চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে এক কিশোরী (১৫) ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত যুবক স্বপরিবারে পলাতক রয়েছে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাত ১১টার উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। পরে দিবাগত রাত ২টার দিকে নির্যাতিত কিশোরী অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলো, উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের নুরনবী মেম্বার বাড়ির রফিকের ছেলে মো.টিপু (২৫), একই এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মো.হাফেজ (৪০) ও অভিযুক্ত যুবকের বাবা রফিক (৬৫) এবং মা পরানী বেগম (৫০)।
পুলিশ ও এবং নির্যাতিত কিশোরীর পরিবার জানায়, অভিযুক্ত যুবক মো.টিপু নির্যাতিত কিশোরী দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। গতকাল মঙ্গলবার ওই কিশোরী তার পরিবারের সদস্যদের সাথে বাড়ির পাশে আরেক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়। একপর্যায়ে ওই কিশোরের মা-বাবা বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে তাদের বাড়িতে চলে যায়। পরে অভিযুক্ত টিপু কৌশলে ওই কিশোরীকে বিয়ে বাড়ির একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে। তারপর কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই ধর্ষক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, এ ঘটনার নির্যাতিত কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে। ওসি আরো বলেন, পুলিশ রাত ২টার দিকে খবর পেয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নোয়াখালী প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল (শিমুল)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.