কনকনে ঠান্ডায় কাবু লালমনিরহাটের মানুষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: টানা নয় দিন ধরে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে বেড়েছে কুয়াশার দাপট। হিমেল বাতাস আর শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। কনকনে এই ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। গতকাল সূর্যের দেখা মিললেও রোববার ভোর থেকেই ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ছে পুরো জেলা।
রংপুর বিভাগীয় আবহাওয়া অধিদফতরের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল  ৬টায় লালমনিরহাটের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি জেলা রংপুরে ১১ দশমিক ৪, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক শূন্য, কুড়িগ্রামে ৯ দশমিক ৮, নীলফামারীর ডিমলায় ১১ দশমিক শূন্য, গাইবান্ধায় ১১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। তীব্র শীতের ফলে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। ঠান্ডার কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।
তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষের জীবন। ঠান্ডা নিবারণে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র নেই তাদের। ঠান্ডায় থরথর করে কাঁপছেন অনেকে। সকালে আগুনে শরীর গরম করে অনেকে কাজে বের হচ্ছেন।
জেলা কৃষি দফতরের উপপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, ‘কুয়াশার সঙ্গে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হলে আলু এবং ধানের বীজতলার ক্ষতি হবে। ইতোমধ্যে কৃষকরা আলুতে স্প্রে করেছেন। ধানের বীজতলায় সেচ দিতে বলা হচ্ছে। একটু রোদ হলেই ধানের বীজতলা পুনরায় ঠিক হয়ে যাবে। অন্যান্য রবি শস্যের তেমন কোনও ক্ষতি হবে না।’
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.