কঠোর লকডাউনে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ রাস্তায়


বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: করোনা ঠেকাত সারাদেশে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহ লকডাউন কঠোর ভাবে বাস্তবায়ন চলছে। এমনাবস্থায় রাজশাহীর বাগমারায় মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও আনসার সদস্য। আজ বৃহস্পতিবার কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন রাস্তায় লোক সমাগম কম ছিল।
তবে সচেনতার অভাবে অনেকের মধ্যে সামাজিক দুরত্ব ও মাস্ক বিহীন দেখা গেছে। কঠোর ভাবে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন মোড়ে মোড়ে অবস্থানে থেকে পথচারীদের জিজ্ঞাসাদি করতে দেখা গেছে। অযথা কেউ বাইরে বের হলে তাকে তোপের মুখে পড়তে হয়েছে।
সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন বহাল ছিল। বিকালে উপজেলার দেউলিয়া চৌরাস্তায় পুলিশ মোটর সাইকেল আরোহীদের আটকিয়ে জিজ্ঞাসা করতে দেখা যায়। এদিকে গ্রাম এলাকায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় সচেতন মহলের মধ্যে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বাগমারা উপজেলা ১৬টি ইউনিয়য়ন ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে ৪ লক্ষাধিক ঘনবশতি এলাকা। এবিপুল সংখ্যক লোকের প্রতিনিয়তই জনসমাগমে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলায় সাপ্তাহিক তাহেরপুরহাট, ভবানীগঞ্জহাট, মচমইলহাট মহনগঞ্জহাটসহ প্রতিদিনে বড় বড় গরুরহাট, পানহাট, পিঁয়াজহাট নিয়ে চলছে জটলতা। হাট-ঘাটের দুর অবস্থায় জনসমাগম প্রতিনিয়তই ঘটছে।
যদিও বাগমারা উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার ৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে কোন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়নি। গত দু’ দিনে ১০ জনের নমুনায় প্রথম দিনে ৩ জন ও পরের দিন ২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, করোনা ভাইরাসের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়েছে। সে কারণে আতংকিত না হয়ে চলমান অবস্থায় সকলকে ঘরে অবস্থান করার অনুরোধ করা হচ্ছে। অমান্য করে বাহিরে চলা ফেরা বা জনসমাগম করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রাব্বানী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, উপজেলা পর্যায়ে লোকজন এন্টিজেন পরীক্ষায় অনীহাই বেশী। অনেকে উপসর্গ নিয়ে বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদেরকে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স মুখী করার প্রচেষ্টা চলছে। বর্তমানে পরীক্ষা করা ছাড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও নির্ণয় করা সম্ভব না। লোকলজ্জার ভয়ে অনেকে করছেন না করোনার নমূনা পরীক্ষা। যদিও এ বিষয়টা কিছুই না। বরং তাকে সুরক্ষিত করতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার দরকার।
এদিকে উপজেলায় লকডাউনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসনের কারণে ওয়ুধপত্রের দোকান ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে তরিতরকারীর দোকান খোলা ছিল। তবে ছিল না ফলমুলের দোকান। এসময়ে রোগীদের পুষ্টি বাড়াতে প্রয়োজন প্রচুর ফলমুল। বিষয়টি উপলদ্ধি করে স্থানীয়রা ফলমুলের দোকান খোলা রাখার যাবতিয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি মোঃ আফাজ্জল হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.