কঠোর লকডাউনের মধ্যে এভাবে পুরোদমে সক্রিয় চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেশের আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য গতিশীল রাখতে কঠোর লকডাউনের মাঝেও চালু রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। রমজানের ভোগ্যপণ্যের পাশাপাশি চলছে মেগা প্রকল্পের যন্ত্রপাতি খালাসের কাজও। ব্যবসায়ীদের দাবী, কন্টেইনার এবং জাহাজজট এড়াতে বেসরকারি ডিপোগুলোকে আরও বেশী সক্রিয় করতে হবে।
আমদানীকৃত পণ্যবাহী কন্টেইনার একের পর এক ইয়ার্ডে সাজিয়ে রাখছে ক্রেনগুলো। ঢাকা আইসিডিতে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে কন্টেইনারবাহী ট্রেন। এর মাঝে চলছে লরিতে করে ইয়ার্ড থেকে কন্টেইনার ডিপোতে নেয়ার তৎপরতাও। আর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জাহাজে তুলে দেয়া হচ্ছে রপ্তানী যোগ্য তৈরী পোশাক। কঠোর লকডাউনের মধ্যে এভাবে পুরোদমে সক্রিয় চট্টগ্রাম বন্দর।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যেও কন্টেইনার ডেলিভারি স্বাভাবিক হচ্ছে। সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার কন্টেইনার ডেলিভারি যাচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় ৮ হাজার টিইউএস কন্টেইনার ওঠানামা করেছে। পাশাপাশি গত দু’দিনে ১০ হাজারের বেশী কন্টেইনার ডেলিভারি দিয়েছে।

তবে বন্দরের সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি ১৭টি আইসিডি সক্রিয় না হলে জাহাজ এবং কন্টেইনার জট সৃষ্টির শঙ্কা কথা জানান শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি শফিকুল আলম জুয়েল।

সরকারি এবং বেসরকারি অন্তত ২০টি সংস্থা বন্দরের এ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এর মধ্যে শ্রমিক রয়েছেন ৮-১০ হাজার। এসব শ্রমিকের চলাচলের সুবিধার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কিছুটা ছাড়ের দাবী জানান ফ্রেইট ফরোয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন।

চট্টগ্রাম বন্দর এবং বহির্নোঙরে বর্তমানে জাহাজ রয়েছে ৮৬টি। এর মধ্যে বহির্নোঙরের ৪৮টি এবং প্রধান জেটিতে ১০টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস চলছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান স..জিয়াউর রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.