কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদাকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হবে: মিনু

 

বিএনপি প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত অবৈধ ও ষড়যন্ত্রমূলক সাজা প্রদানের প্রতিবাদে এবং দেশমাতার নি:শর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বিএনপি।

আজ রবিবার নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বোয়ালিয়া, রাজপাড়া, মতিহার ও শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ।

প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত ও বিএনপি’র কেন্ত্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।

অন্যদের মধ্যে মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুরর রহমান রিটন, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইল হিকল, জেলা যুবদলের সভাপতি মুজাদ্দেদ জামানী সুমন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সমাপ্ত, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন রিমন, আখতার জাহান, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, জেলা সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি, যুগ্ম সম্পাদক নাহিন আহম্মেদ নাহিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর তারিক সহ রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র ৩৭টি ওয়ার্ডের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা মিনু বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার মাধ্যমে জনগণ উজ্জিবিত হয়েছিল। তাঁর ডাকে বাঙ্গালী জাতিগোষ্ঠী যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের জন্ম দিয়েছে। আর স্বাধীন বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

 

তার অবর্তমানে বেগম জিয়া দেশের গণতন্ত্র পূণরুদ্ধার ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন। অথচ বর্তমান ফ্যাসিস্ট ও অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সে সময়ে এরশাদের সাথে আঁতাত করে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ১৯৮৬সালে সাথে নির্বাচন করেন। সেইথেকে আজ অবধি হাসিনা জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে জনগণের নিকট। বতর্মানে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংশ করে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে।

জনগণের সকল স্বাধীনতা হরণ করেছে। নির্বাচন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। সবখানে জোর করে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করছে। রাজশাহীতেও আগামী সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার দলীয় প্রার্থী অ-গণতান্ত্রিক আচরণ শুরু করেছে। অন্যদলের সকল পোস্টার লিফলেট, ফেস্টুন ও ব্যানার অপসারণ করে নিজের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার টানানো শুরু করেছে।

পাড়া মহল্লার সখল বাড়ির দেওয়াল ও বাউন্ডারী দেওয়ালে পোস্টার লাগিয়ে এবং শহরের প্রতিটি স্থানে অসংখ্য পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন লাগিয়ে শহরের সৌন্দর্য্য নষ্ট করেছে। এছাড়াও তার এই সকল পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারের কারণে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজশ্ব হারাচ্ছে। সরকার দলীয় নেতারা কোন দুর্নীতি করলে কোন বিচার বা সাজা হয়না । বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কয়েক হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করে বিদেশে পাচার করেছে।

তত্ববধায়ক সরকারের আমলের হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি দুর্নীতি মামলা হলেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সব মামলা খারিজ করে নিয়েছে। অথচ কোন প্রকার দুর্নীতি না করে এবং কোন প্রকার অর্থ অপচয় ও আত্বস্বাত না করেও মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়া সাজা ভোগ করছেন। তাঁর জামিন নিয়ে সরকার টালবাহানা করছে। বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থ হলেও তাঁকে সুচিকৎসা প্রদান করা হচ্ছেনা। দ্রুত তার চিকিৎসা না করা হলে এবং কোন প্রকার কোন সমস্যা হলে সে দায় সরকারকেই নিতে হবে। সেইসাথে ঈদ-উল-ফিতরের পরে সরকার পতন এবং বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন মিনু।

সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বুলবুল বলেন, দেশে বর্তমানে আইনশৃংখলা বলতে কিছু নাই। পুলিশের সামনে বিএনপি ও সিটি কর্পোরেশনের ব্যানার ফেস্টুন খুলে ফেলে দিয়ে দলীয় প্রার্থীর ব্যানার ফেস্টুন টাঙ্গিয়েছে। আগামী সিটি নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকার নিল নক্সা আঁকছে। বেগম জিয়াকে বাহিরে রেখে নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে।

এছাড়াও বেগম জিয়া বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হলেও সরকার তাঁর চিকিৎসা নিয়ে গড়িমসি করছে। এছাড়াও তার জামিন নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। দ্রুত বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা এবং নিশ:র্ত মুক্তির দাবী জানান। সেইসাথে ঈদের পরে হাসিনা সরকারের পতন এবং বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি) #

Comments are closed.