ওয়েলসকে হেসে-খেলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ডেনমার্ক

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিস্টিয়ান এরিকসন খেলতে পারছেন না। গ্রুপপর্বে মাঠেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হয়েছে এই তারকাকে। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে সেভাবে অনুভূত হতে দিচ্ছেন না সতীর্থরা। এই তো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলর লড়াইয়ে ডেনিশরা বলতে গেলে অনেকটা সহজেই ওয়েলস বাধা অতিক্রম করেছে।
শনিবার (২৬ জুন) ডেনমার্ক ৪-০ গোলে গ্যারেথ বেলের দলকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। দলের অন্যতম ফরোয়ার্ড ক্যাসপার ডোলবার্গের জোড়া গোলে দল নক আউট পর্বের প্রথম ধাপ পেরোলো। বাকি দুটি গোলের একটি মেহেলের ও অন্যটি ব্রেথওয়েটের।
ইয়োহান ক্রুইফ এরিনাতে প্রথমার্ধেই ডেনমার্ক এগিয়ে যায়। কিন্তু বল দখলে এগিয়ে থাকলেও শুরুর আক্রমণে ওয়েলস ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল। ১১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে গ্যারেথ বেলের জোরালো শট একটুর জন্য পোস্ট ঘেঁষে যায়। এর তিন মিনিট পর এই তারকার আরেকটি শট ডিফেন্ডারদের পায়ে লেগে প্রতিহত হলে গোল পাওয়া হয়নি।
ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে সময় লাগেনি ডেনিশদের। ২৭ মিনিটে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে ডোলবার্গ জাল কাঁপান। গোলকিপার বাম পাশে ঝাঁপিয়ে পড়েও রুখতে পারেননি বল। বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে মিনিটে ডেনমার্কের মেহেলের ছয় গজ দূরত্ব থেকে নেওয়া শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাইরের দিকে জাল কাঁপালে ব্যবধান বাড়ানো হয়নি।
বিরতির পর অবশ্য ডেনিশরা একাধিকবার লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছে। এই অর্ধে এসেছে আরও তিনটি গোল। ৪৭ মিনিটে ডেনিশদের একটি ক্রস ডিফেন্ডার উইলিয়ামসন ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি, ডোলবার্গ বক্সের ভেতরে বল পেয়ে লক্ষ্য ভেদ করতে ভুল করেননি।
ম্যাচ প্রায় শেষের দিকে, অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে আর ১০ মিনিটের মতো বাকি। কিন্তু তখনও ডেনিশ সমর্থকদের জন্য অপেক্ষা করছিলো অনেক কিছুই। এই ১০ মিনিটেই ১৯৯২ এর চ্যাম্পিয়ন ডেনমার্ক গোল পায় আরও দুটি। ৮৬ মিনিটে ব্রেথওয়েটের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দুই মিনিট পর ৩-০ তে এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। বক্সে ঢুকে দেখেশুনে মেহেলে লক্ষ্যভেদ করেন।
খেলার ৯০ মিনিটে ওয়েলসের হ্যারি উইলসন লাল কার্ড দেখেন। ১০ জনের দলের বিপরীতে ডেনিশরা আরও চড়াও হয়ে খেলতে থাকে। যোগ করা সময়ে আসে আরও সাফল্য। ব্রেথওয়েট বক্সের ভিতরে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে গোলকিপারকে পরাস্ত করে ওয়েলসের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.