ওয়াজেদ মিয়া নিরহংকার ও মিতভাষী মানুষ ছিলেন : তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি আমলে নানা মানসিক নির্যাতন এবং পরে জরুরি অবস্থার সরকারের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার ও মানসিক নির্যাতনের ফলে ড. ওয়াজেদ মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে তিনি আর ফিরতে পারেননি। তিনি একজন নিভৃতচারী, নিরহংকার ও মিতভাষী মানুষ ছিলেন।
আজ সোমবার (০৯ মে) রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পরমাণুবিজ্ঞানী মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়ার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ-মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
পরমাণুবিজ্ঞানী মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়াকে নিরহংকার, প্রচারবিমুখ, অনুকরণীয় প্রাণের দৃষ্টান্ত বলে বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যেহেতু আমি আওয়ামী লীগ সভাপতির বিশেষ সহকারী হিসেবে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছি। সেজন্য তাকে নিয়ে আমারও কিছু স্মৃতি আছে। তিনি একজন নিভৃতচারী, নিরহংকার, মিতভাষী মানুষ ছিলেন। সবাইকে আপন করে নিতেন। তিনি যে জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী, সেটি অনেকেই জানতেন না। নিজগুণে, নিজ নামেই পরিচিত এই মানুষটি পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন, একজন গবেষক ছিলেন, তার গবেষণালব্ধ বই ভারতে পাঠ্য বই হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ মিলাদ ও দোয়ায় অংশ নেন।
ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের সদস্যরা জঘন্য হত্যাকাণ্ডে নিহত হওয়ার পর দুঃসহ বেদনাক্লিষ্ট বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাকে সাহস দিয়ে আগলে রাখার মহান ও দুরূহ কাজটি ড. ওয়াজেদ মিয়া করেছেন।
স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সালটি সম্ভবত ২০০৫, সুধা সদনের আঙিনায় দাঁড়িয়ে আছি, তিনি বলছেন তার মনটা একটু ভালো, কারণ বাড়ির ঋণটা শোধ হয়েছে। আমি বললাম, দুলাভাই, কোন বাড়ির ঋণ? তিনি সুধা সদন দেখিয়ে বললেন, এই বাড়ির ঋণ। আপনারা জানেন, তার ডাক নাম সুধা মিয়া, সেই নামেই সুধা সদন হয়েছে। এই মানুষটি আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে বললেই ঋণ আরো আগেই পরিশোধ হয়ে যেতো। কিন্তু তিনি কাউকে বলেননি। নিজেই কিস্তিতে ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ সম্পূর্ণ শোধ করেছেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.