ওয়ার্ডে হবে করোনা চিহ্নিত করণ

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: কলকাতা পুরভোটের ১৭দিন আগে প্রতিটি ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিহ্নিত করণের কাজ শুরু হয়ে যাবে। ভোটের দিন এক ঘন্টা আগে বিশেষ ব্যবস্থা করে রোগীদের ভোটদান কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভোট দানের ব্যবস্থা করা হবে। তাঁদের বুথে নিয়ে আসার জন্য প্রতিটি বরোতে তিনটি করে এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করবে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের সাথে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।যাঁদের এখনও টিকাকরণ হয়নি তাঁদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করছে কমিশন। সমস্ত প্রাইভেট ও পাবলিক সেক্টর গুলোকে বলা হয়েছে সহযোগিতা করতে।বর্তমানে শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০,নতুন করে কেউ আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভা থেকে আপডেট পেয়ে যাবে কমিশন।
এছাড়াও ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের জন্য গ্লাভস,সেনিটাইজার সহ আনুষঙ্গিক সব ব্যবস্থা থাকছে বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার,সবকিছু চূড়ান্ত করতে কমিশন তথা স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার শ্রী সৌরভ দাস।
আসন্ন পুরভোটের শান্তি শৃঙ্খলা ও অবাধ ভোট দানের জন্য প্রত্যেক বরোতে একজন করে পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হচ্ছে।পাশাপাশি গোটা ভোটপর্ব নজরদারি করার জন্য আই এ এস পদমর্যাদার চারজনের বিশষ টিম গঠন করা হয়েছে।
এবার ভোটে প্রার্থীদের খরচের সীমা একটু বাড়ানো হয়েছে।তা নির্ভর করবে কোন ওয়ার্ডে কতসংখ্যক ভোটার আছেন।রাজ্য নির্বাচন কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে কে কি ভাবে খরচ করবেন।
যেমন কোন ওয়ার্ডে ৬হাজার বা তার কম ভোটার হলে একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৪২হাজার টাকা খরচ করতে পারবেন। আগে তা ছিল ৩০হাজার টাকা। অর্থাত ভোটার পিছু আগে ছিল ৫টাকা, এখন সেটা বেড়ে হলো ৭টাকা।
আবার কোন ওয়ার্ডে দশ হাজার ভোটার হলে, প্রার্থী সর্বোচ্চ ৮০হাজার টাকা খরচ করতে পারবেন,আগে ছিল সর্বোচ্চ ৬০হাজার টাকা।আবার কোন ওয়ার্ডে ভোটারের সংখ্যা ৫০হাজার বা তার বেশী হয়, সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রার্থী চার লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবেন। আগে যেটা তিন লক্ষ টাকা ছিল। সব খরচের হিসেব অডিট আকারে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা করতে হবে
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.