ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত-৫০, বাংলাদেশি থাকার আশঙ্কা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের ওড়িশায় একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক। ‌নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। হতাহতদের মধ্যে বাংলাদেশি থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২ জুন) ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের শালিমার থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস।
পথে ওড়িশার বাহানাগা বাজার এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি মালবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী ট্রেনটি। এতে ৩টি বগি বাদে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সব বগি লাইনচ্যুত হয়।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় এই ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হতে পেরিয়ে যায় প্রায় ঘন্টাখানেক। এতে হতাহতের ঘটনা আরও বাড়ে।
ওড়িশা রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত গুরুতর আহত ২০০ জনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ‌ লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়া ১৫টি বগির মধ্যে এখনও তিনটি এসি কামরা থেকে হতাহতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হচ্ছে ওই ট্রেনে করে প্রতিদিন অসংখ্য বাংলাদেশি পর্যটক দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসা করাতে যান। এখনও পর্যন্ত ওই ট্রেন থেকে কোনো বাংলাদেশির আহত বা নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কলকাতা অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নের বিশেষ হেল্পলাইন খোলা হয়েছে হেল্পলাইন খোলা হয়েছে চেন্নাইয়ে স্টেশনে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন হতাহতের ঘটনা আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১০০ ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ ঘটনাকে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা বলে দাবি করছে ভারতের রেল বিভাগ। এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
একই সঙ্গে তিনি নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছেন। এছাড়া এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশেষ অনুরোধ করেছেন। ‌#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.