ঐক্যবদ্ধভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান

ঢাকা প্রতিনিধি: ঐক্যবদ্ধভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক নেতারা।
আজ মঙ্গলবার (৩১ মে) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডাকসুর সাবেক নেতাদের উদ্যোগে শিক্ষা বাঁচাও, শিক্ষাঙ্গণ বাঁচাও শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা এ আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, দেশের সকল শিক্ষাঙ্গন আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষাঙ্গনকে বাঁচানো শুধুমাত্র ছাত্র সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নয়। এই দায়িত্ব সবার। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষাঙ্গনকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে আমরা ডাকসুর সাবেক নেতারা দেশের সকল ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, পেশাজীবী, ডাকসুসহ দেশের সকল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক-বর্তমান ছাত্র সংসদ নেতা, সাবেক-বর্তমান ছাত্র নেতাসহ দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, দেশ আজ এক চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সরকার দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, জনগণের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে, মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করেছে, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষাঙ্গণের পরিবেশ ধ্বংস করেছে। তারা গুম, খুন, হামলা, মামলা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, নিপীড়নের মাধ্যমে বিরোধী মতকে দমন করে একটি একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশের জনগণ বিশেষ করে ছাত্র সমাজ বরাবরই রুখে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত ১৩ বছর ধরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষাঙ্গণের পরিবেশ পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করে যাচ্ছে বর্তমান ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার। নিজেদের শাসন টিকিয়ে রাখতে তারা দেশকে মেধাহীন করার সকল ব্যবস্থা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস এখন একটি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এসব ঘটনায় ক্ষমতাসীন দল এবং এর সহযোগী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের নাম প্রমাণসহ উঠে আসার পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
মান্না বলেন, সর্বশেষ গত ২৪ এবং ২৬ মে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় নিষ্ঠুরভাবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে। এমনকি তারা কাপুরুষোচিতভাবে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের ওপর এমন নির্মম হামলার ঘটনা পাকিস্তান আমলেও কখনো ঘটেনি। হামলার শিকার এসব বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি।
এই হামলায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছবি এবং ভিডিওসহ উঠে এসেছে। এই হামলায় জড়িতদের নাম পরিচয়, হামলা এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের ছবি, ভিডিও সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হলেও দলদাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমনকি ঘটনার বিষয়ে জানেন না বলেও মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এই ঘটনায় হামলার শিকার ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলকে দায়ী করেছেন এমনকি মামলাও করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি আসম আব্দুর রব, সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন, সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম ও সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মো: মাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.