এ বছর হচ্ছে না রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

ঢাকা প্রতিনিধি: বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এবছর আর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হচ্ছে না বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বাংলাদেশের শরণার্থী বিষয়ক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স বলে, শরণার্থীদের মূল দাবি মোতাবেক প্রত্যাবাসন শুরু করতে নতুন ধারার পদক্ষেপ দরকার। ফলে এবছর আর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশের শরণার্থী বিষয়ক ত্রাণ পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল কালাম রয়টার্সকে বলেন, ‘ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন। আর নির্বাচন পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থানান্তর কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। আর শরণার্থীদের মূল দাবি মোতাবেক প্রত্যাবাসন শুরু করতে নতুন ধারার পদক্ষেপও দরকার।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানের কারণে প্রাণ বাঁচাতে আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আর বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী সম্প্রতি স্বল্পসংখ্যক রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি হয় মিয়ানমার। তবে সেখানে নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা ফের নিপীড়নের ভয়ে ফিরতে রাজি হয়নি রোহিঙ্গারা। শেষমেশ বহুল প্রত্যাশিত প্রত্যাবাসনও থমকে যায়।

রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি প্রত্যাবাসন পরিকল্পনার বিরোধিতা করে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এবং সহায়তা সংস্থাগুলো। তারা জোরালো ভাবে বলে আসছিল, মিয়ানমারে ফিরে গেলে আবারও নিরাপত্তা সংকটে পড়বে রোহিঙ্গারা।

আবুল কালাম বলেন, ‘রোহিঙ্গারা নিশ্চয়তা না পেলে ফিরতে রাজি হবে বলে মনে হয় না। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চাইলে মিয়ানমারকে নাগরিকত্বের বিষয়ে একটি পরিস্কার পথনির্দেশনার প্রস্তাব করতে হবে।

আর বিষয়টি আগামী মাসে প্রত্যাবাসন বিষয়ক পরবর্তী দ্বিপাক্ষিক সভায় উত্থাপন করা হবে বলে তিনি রয়টার্সকে জানান।

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে বিকল্প পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ প্রায় শেষ হয়ে আসছে। কৃষিকাজ মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহের সুযোগ থাকায় কোনও কোনও রোহিঙ্গা সেখানে যেতে সম্মত হবে। তবে ত্রাণ সংস্থাগুলো সেখানে বন্যার পানি ওঠার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে।

বাংলাদেশের বক্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া জানতে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জাও তাইয়ের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানায় ব্রিটিশ বার্তা সংস্থাটি।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.