এয়ার ইন্ডিয়া ফের টাটার

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৬৮ বছর পর টাটাদের হাতে এলো এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা। টাটা এণ্ড সন্স নামে পরিচিত সংস্থাটি,এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ১০০% ও এয়ার ইন্ডিয়া স্যাটসের ৫০% শেয়ার শেষ পর্যন্ত দখল করল।
এ প্রসঙ্গে টাটার কর্ণধার শ্রী রতন টাটা কিছুটা নস্টালজিক হয়ে বলেন,’ ওয়েলকাম ব্যাক,এয়ার ইন্ডিয়া।টাটা গ্রপের দরপত্রের জয় বিরাট বড় ব্যাপার। এয়ার ইন্ডিয়াকে নতুন করে সাজাতে সব রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আশা করি এ কাজে সবাই সাহায্য করবেন’।
১৯৩২ সালের পরাধিন ভারতের আকাশ জয়ের স্বপ্ন এই টাটাদের হাত ধরেই। টাটা এয়ার লাইন্স ভারতীয় বিমান সংস্থার স্বপ্নের উড়ান শুরু করেন জে আর ডি টাটা। ১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নতুন নামকরণ হয় এয়ার ইন্ডিয়া। স্বাধীনতার পর ১৯৪৮ সালে ৪৯ শতাংশ শেয়ার আসে ভারত সরকারের হাতে। এরপর হয় জাতীয় করণ। ১৯৫৩সালে যদিও ভারত সরকারের হাতে পরিচালন ভার থাকে কিন্তু ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান থাকেন জে আর ডি টাটা।
১৯৫৩-২০২১ সালের শেষ বেলাতে হল মহাপ্রত্যাবর্তন। আবার রতন টাটার হাত ধরে শুরু হল পথ চলা। এ এক অবিস্মরণীয় মুহুর্ত ভারতীয় বিমান পরিবহনের। দরপত্রের লড়াইয়ে টাটাদের প্রতিযোগি ছিল স্পাইস জেড। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকায় এসে আটকে যায় স্পাইস জেড।আর ১৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে টাটারা ফিরিয়ে নিল এয়ার ইন্ডিয়াকে।
বর্তমানে এয়ার ইন্ডিয়ার ঘাড়ে ৬০ হাজার কোটি টাকার ঋণের বোঝা আছে। পরিষেবা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষতি হচ্ছিল ২০ কোটি টাকা।
চুক্তি অনুযায়ি ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে,বাকি ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণের বোঝা ঘাড়ে নিল টাটারা। তবে এয়ার ইন্ডিয়ার স্থাবর সম্পত্তি এর বাইরে।
কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্কার ভাবে জানিয়েছে সংস্থার লোগো’ মহারাজা ‘আগামী পাঁচ বছরে পাল্টানো যাবে না।
পরবর্তীকালে পাল্টালেও ভারতীয় সংস্কৃতির বাইরে বা বিদেশী কোন অনুকরণ নয়। বর্তমান কর্মীদের আগামী এক বছর ছাঁটাই করা যাবে না। পরের বছরে করলেও স্বেচছা অবসরের সুযোগ দিতে হবে। এতদিন চিকিৎসা ও আনুষঙ্গিক যেসমস্ত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছিল বজায় থাকবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.