এমপি আয়েনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ওয়ার্কার্স পার্টির

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়নে গত ৩১ অক্টোবর ইউপি নির্বাচন সংক্রান্ত এক বর্ধিত সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির দলীয় প্রতীক নিয়ে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দীনের দেওয়া কটুক্তিমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
আজ বুধবার (০৩ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় কাশিয়াডাঙ্গার মুক্তিযোদ্ধা সমবায় কমপ্লেক্সে আয়োজিত যৌথ সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু দলের পক্ষ থেকে এ প্রতিবাদ জানান।
দেবু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের দল ও প্রতীক নিয়ে সরকারদলীয় এমপির উষ্কানী ও কটুক্তিমূলক বক্তব্য জোটের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে। রাজনৈতিকভাবে যারা অপরিপক্ক ও দুর্বল তারাই এ ধরনের বক্তব্য জনসম্মুখে দিতে পারেন। সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দীন কেমন মানুষ, সেটি তার এলাকায় ১০ মিনিট দাঁড়ালেই বোঝা যায়। তার মতো সাম্প্রদায়িক নেতার মুখে অন্য দল ও তাদের প্রতীক নিয়ে কটুক্তি শোভা পায় না। আমরা তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আয়েন ইউপি নির্বাচনকে ‘প্রভাবিত’ করছেন অভিযোগ করে দেবু বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় এমপি’রা প্রচার-প্রচারণায় অংশ না নেওয়ার বিধান থাকলেও আয়েন উদ্দীন সেটিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছেন। কিছুদিন আগেও তিনি হড়গ্রাম ইউনিয়নে গিয়ে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে এসেছেন। মাঝেমাঝেই বিভিন্ন নির্বাচনি সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। এগুলো পুরোপুরি আইনপরিপন্থী। আমরা এসব তথ্য সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশনসহ জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা আরও বলেন, হড়গ্রাম ইউনিয়নে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে আয়েন কৌশলে সেখানে আ’লীগের প্রার্থী দিয়েছেন। তিনি নৌকার নয় বরং জামায়াতের জয় চান। জামায়াত ইসলাম সমর্থিত সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে জয়ী করতে ফের নানা রকম কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা মনে করি, সেখানে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করতে আওয়ামী লীগ এবং ওয়ার্কার্স পার্টির জোটগত ঐক্য প্রয়োজন।
গত ৩১ অক্টোবর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় এমপি আয়েন উদ্দীন বলেন, ‘কিছু লোক আছে যারা আওয়ামী লীগ করে; কিন্তু ভোট আসলে তারা আবার বলে- আমি হাতুড় মার্কা নিয়ে ভোট করবো, ওটা আমার আত্মীয় হয়। তারা হাতুড় মার্কা নিয়ে পড়ে থাকে। যার আমৃত্যু সম্ভাবনা নেই বিজয় হওয়ার। এই ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা আমি বিশ্বাস করি, জামায়াতের টাকায় এসব করে।’
যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন হড়গ্রাম ইউনিয়নে ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুর রহমান ফজলু। বক্তব্য দেন- মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন, মনিরুদ্দীন পান্না, নাজমুল করিম অপু, মহানগর সদস্য মতিউর রহমান মতি, মোকলেসুর রহমান, হড়গ্রাম ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন। সভা সঞ্চালনা করেন কাশিয়াডাঙ্গা থানা সভাপতি শামীম ইমতিয়াজ।
সংবাদ প্রেরক জগদীশ রবিদাস। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.