এবার সতর্ক অবস্থানে রাজশাহী বিমানবন্দর

নিজস্ব প্রতিবেদক: রোববার রাতেই চট্টগ্রামে ঘটে গেলো  নাটকীয় এক ঘটনা। অস্ত্র হাতে বিমান ছিনতাই চেষ্টা, আত্মসমর্পণ, নায়িকা শিমলার প্রেমে ব্যর্থ, প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলার আগ্রহাতিশয়তা, নিহত এবং অস্ত্রটি নাকি ‘খেলনা পিস্তল’! একের পর এক ব্রেকিং নিউজ ছিল চমকে যাওয়ার মতো। দেশবাসীর নজর তখন টিভি চ্যানেলগুলোর দিকে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিহত হলে ঘটনা আরও আগ্রহের জন্ম দেয়। প্রকৃত তথ্য বের না হতেই মৃত্যু!  পেছনের আসল রহস্য, নিরাপত্তা বেষ্টিত থেকেও অস্ত্র হাতে কিভাবে বিমানে উঠল,প্রেমবঞ্চিত হয়েছে বলে বিমান ছিনতাই – জনমনে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক করছে।

তবে নাটকীয়তার অর্ধসমাপ্তি হলেও টনক নড়েছে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের। ঘটনার পর থেকেই তারা কড়া অবস্থানে। দেশের অন্যতম  বিমানবন্দর রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) বিমানবন্দরের ওপর কড়া নজরদারী রাখা হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যাও। অন্যদিনের তুলনায় তারাও রয়েছেন সতর্ক অবস্থানে।

সরেজমিন পরিদর্শনেও সেই চিত্র দৃশ্যমান হয়েছে। কড়া প্রহরায় যাত্রীদের ঢুকানো হচ্ছে। নিরাপত্তারক্ষীরাও সতর্ক অবস্থানে। এদিন গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরাও ছিলেন বেশ সক্রিয়।

জানা যায়, বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স রাজশাহী-ঢাকা রুটে সপ্তাহে চারদিন  ফ্লাইট পরিচালনা করে চলেছে। প্রতি রোববার, মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার। অপরদিকে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে  প্রতি শনি,সোম ও বুধবার একই রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হয়। এখান থেকে আভ্যন্তরীণ  রুটে দৈনন্দিন প্রায় ১২০ থেকে ১৪০ জন যাত্রী চলাচল করে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে  রাজশাহী শাহ মখদুম (রহঃ)   বিমানবন্দরের পরিচালক সেতাফুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, রোববার চট্টগ্রামে ওই ঘটনার পর বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন রাজশাহী বিমানবন্দরকে নিরাপত্তা নজরদারীতে রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। সেজন্য সোমবার সকাল থেকেই নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ ও  বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য সহযোগিতা করেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে থানা থেকে পুলিশ সদস্যের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, রাজশাহী বিমানবন্দরে সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী ছাড়াও পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও আনসার বাহিনীর কর্মীরা প্রতিনিয়তই কাজ করেন। আগেও  নিরাপত্তা  ছিল এখনও যথেষ্ট নিরাপত্তা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের ১০ জানুয়ারি উদ্বোধন হওয়া উত্তরবঙ্গের এই  বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা-রাজশাহী-সৈয়দপুর-ঢাকা এবং ঢাকা-সৈয়দপুর-রাজশাহী-ঢাকা এই দুটি রুটে বিমান চলাচল শুরু করলেও সেই বছর তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পরে লোকসানের কারণে সরকারি বিমান চলাচল বন্ধ করা হয়। অবশ্য পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ঢাকা-রাজশাহী-সৈয়দুপর রুটে বেসরকারি উদ্যোগে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল শুরু হয়। এবং সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে আবারও ফ্লাইট চালু করা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি আমানুল্লাহ আমান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.