এবার ইসরাইল-হামাস সংঘাতে প্রাণ গেল ২৯ মার্কিনির

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাতে নিহত মার্কিন নাগরিকদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে।
এ ছাড়া এখনো ১৫ জন আমেরিকান নাগরিকের কোনো খোঁজ মিলছে না। গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ২২০০ ছাড়িয়েছে। খবর রয়টার্স।
এর আগে ইসরাইল-হামাস সংঘাতের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গত এক সপ্তাহে অন্তত ১২ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও আটজন। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত দুজন সাংবাদিক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলে হামাসের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ২৯ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র শনিবার নিশ্চিত করেছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরাইলের সহিংসতায় এর আগে ২৭ মার্কিনির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই মুখপাত্র বলেছেন, ১৫ মার্কিন নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ এক স্থায়ী বাসিন্দার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না এবং তাদের সন্ধান পেতে ‘অব্যাহতভাবে কাজ চালিয়ে’ যাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বন্দি সংকটের বিষয়ে ইসরাইলি সরকারের সঙ্গে কাজ করছে, যার মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের মতো বিষয়ও রয়েছে।
কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মুহূর্তে, যে সংখ্যাটি আমরা জানি বা আমরা বিশ্বাস করি যে, বন্দি করা হয়েছে তা খুব ছোট, মুষ্টিমেয় থেকেও কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।’
এদিকে হামাস-ইসরাইলের সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর পরই ইসরাইল উপকূলে বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানায়, তারা মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড এবং এর সঙ্গে থাকা অন্য যুদ্ধ জাহাজগুলোকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠাচ্ছে।
আর এর মাধ্যমে মূলত এই অঞ্চলে ফাইটার এয়ারক্রাফটের সংখ্যা বাড়াতে চাচ্ছিল দেশটি। তবে মার্কিন নৌবাহিনীর সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পৌঁছে যাওয়ার পর মার্কিন সামরিক বাহিনী দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ারকে এবার ইসরাইলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.