এনজিও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী সহকর্মীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিয়ের কথা বলে নিজের বাড়িতে নিয়ে নারী সহকর্মীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শোভন আল ফুয়াদ  নামের এক সিড এনজিও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। মামলা করেও বিচার না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুড়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তিনি।
গত বছরের অক্টোবরের দুই তারিখ সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা উনাপালং মাছ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন কোর্টে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
শোভন আল ফুয়াদ কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা উনাপালং মাছ বাজার এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। দুইজনই এন,জি,ও SHED এ চাকুরীরত ছিল। ভুক্তভোগী ওই তরুণী পাবনা শহরের শালগাড়িয়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের রামু উপজেলায় গত এক বছর আগে সিড নামের এক এনজিওতে পাবনার তরুণী যোগদান করেন। কর্মরত থাকা অবস্থায় তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখানো হয়। গত বছরের (০২/১০/২০২৪) তারিখে বিয়ের কথা বলে অসৎ উদ্দেশ্য  চরিতার্থ করতে শোভন ওই তরুণীকে নিজ বাসা উখিয়া উপজেলার উনাপালং মাছ বাজারের পার্শ্বে নিয়ে বিয়ের পরিবর্তে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় ওই তরুণী আসামীকে কাবিননামা করা ব্যতীত যৌন সঙ্গমে বাঁধা দিলে তরুণীর তলপেটে, উভয় রানে ও পিঠে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর জখম করে। পরে আরেক সহকর্মীর সহযোগীতায় সেখান থেকে কোনমত জানে বেঁচে ফিরে আসে। এরপর রামু থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অস্বীকার জানালে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী বিটিসি নিউজকে বলেন, বিয়ের জন্য তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করলে বাধা দিলে ব্যাপক মারধর করে।  এরপর কোর্টে ধর্ষণ মামলা করেছি। বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। আমি বিয়ে করতে বললে  অস্বীকার করে চলেছে। তারপরও আমি শোভনের সঙ্গে বহুবার কথা বলে বিয়ে করতে বলেছি। সে রাজি হয়নি। মামলার আপস বা মিমাংসা না করেই কানাডা চলে যাচ্ছে। সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।
মামলার আসামি শোভন আল ফুয়াদ বলেন, আসলে কি হয়েছে আমি জানি না। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই বিরুক্ত হচ্ছি। এ বিষয়ে পরে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম / পাবনা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.