এটা লুটেরাদের বাজেট : মির্জা ফখরুল

 

ঢাকা প্রতিনিধি: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এটা লুটেরাদের বাজেট। সরকার লুটেরায় পরিণত হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশের এই সংকটকালে সরকার আবার একটা লুট করার পরিকল্পনা করছে। তথাকথিত বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি।’
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে তিনি এ প্রতিক্রিয়া দেন।
প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, যেসব জায়গাগুলোতে আয়ের অংশ দেখানো হয়েছে তা জনগণের উপরে পড়েছে। তাতে করে সাধারণ মানুষের ওপরেই বোঝাটা পড়েছে। এটা আনতে হবে বিদেশ থেকে অথবা অনুদান হিসেবে। ঋণ সবকিছু পড়ছে মানুষের উপর। মানুষের এই ঋণের বোঝা আর টানতে পারছে না। দ্রব্যমূল্য যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা সহনীয় মূল্যে আর নেই। কয়েকদিন আগে বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। কদিন আগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। এখন আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়বে।
আইএমএফের ঋণ প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আইএমএফ এর সঙ্গে চুক্তি প্রতি বছরে চারবার করে বাড়বে। আমরা পয়সাটা কেন দিচ্ছি? বিদ্যুৎ খাতে যে চুরি হচ্ছে সেটা সবাই জানে। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট এর মাধ্যমে ভারত থেকে আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে। কোথায় গেল রূপপুর প্লান, এখন তো হচ্ছে না। পায়রা বন্দরের কাজ কোথায় গেল?
বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেস নিয়ে আছি খুব ভালো কথা। সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলো সমাধান করছেন না কেন? মানুষ তো আর পারছে না। গ্রামে গিয়েও তারা বিপদে পড়ছে, গ্রামে তারা থাকতে পারছেন না। বাজেটের সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হচ্ছে, নতুন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। মেঘা প্রজেক্ট, মেঘা দুর্নীতির জন্য বাজেট করা হয়েছে। তথাকথিত বাজেট শুরুই গণবিরোধী বলবো না।
কালো টাকা করা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা যারা অন্যায় করছে, তাদেরই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যারা ৩০ শতাংশ ভ্যাট দেবে ন্যায় পথে চলে তাদের ওপরে চাপ পড়েছে। যারা অন্যায় করছে তাদের ওপর পড়ছে না। আপনারাই প্রতিদিন লিখছেন, কি করে একজন সরকারি কর্মকর্তা হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ তৈরি করতে পারে, হাউ?
বিএনপির এই নেতা বলেন, মালয়েশিয়ার কর্মীরা যেতে পারল না কেন? এর জন্য সরকার সম্পূর্ণ দায়ী। সরকারের চরম ব্যর্থতা। খবর বের হয়েছে, এখানে ৪-৫ জন সংসদ সদস্য জড়িত। ২০ হাজার ৩০ হাজার কোটি টাকা তারা বানিয়ে নিয়েছে। কোথায় যাবে মানুষ? আমরা বারবার বলছি, যেটা লুটেরাদের দেশ হয়েছে। মানুষ কোথায় দাঁড়াবে। একটা পার্লামেন্টে বাজেট দেওয়া হয়েছে। পার্লামেন্টে তারাই সরকারি দল, তারাই বিরোধী দল, ডামি নির্বাচনের প্রার্থী একজন সংসদ সদস্য। সংসদে বেনজীরের উপর একজন আলোচনা শুরু করেছিলেন তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে আলোচনা করা যাবে না। তার মানে যেগুলো বার্নিং ইস্যু এগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাবে না?
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মোমাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.