একটা নির্বাচন চাই যেখানে ইভিএম ব্যবহার হবে না : খন্দকার মোশাররফ

ঢাকা প্রতিনিধি: নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেছেন, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে না। দেশের জনগণ নিজের হাতে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি তারা নির্বাচিত করবে।
আজ শনিবার (২৬ মার্চ) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে স্বাধীনতার র‌্যালি পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি ছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালাম।
সমাবেশে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে সময়ের দাবি, জনগণের দাবি এই সরকারকে হটাতে হবে। অনতিবিলম্বে এই সরকারের পদত্যাগ চাই। জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই ভবিষ্যতে এদেশের যত সংকট সব সমস্যার সমাধান করবে। তাই সেজন্যই আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুণ।
মির্জা আব্বাস বলেন, সেদিন এক মন্ত্রী বলেন, কিছুদিনের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়বে, গ্যাসের দাম বাড়বে, আপনারা প্রস্তুত থাকেন। কী সুন্দর আবদার। চিন্তা করতে পারেন কত বড় সাহস এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের, বড় বেহায়া এই আওয়ামী লীগ সরকার। যেহেতু ওরা মানুষের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি, সেহেতু তারা মানুষের কথা চিন্তা করে না।
২৫ মিনিট সমাবেশের পর র‌্যালি শুরু হয়। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিজয় নগর ও তোপখানা রোড হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয় র‌্যালিটি।
এর আগে বিকাল পৌনে চারটার দিকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাধীনতা র‌্যালির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
র‌্যালিকে কেন্দ্র করে দুপুর ১২টা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা খণ্ড-খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হন। তাদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকার পাশাপাশি জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড। ঢোলসহ বিভিন্ন রকমের বাদ্যযন্ত্র, পুরনো ঢাকার ঘোড়া-গাড়ি, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বে নানা দৃশ্য প্রদর্শন, লাল- সবুজ-হলুদ ক্যাপ পরে নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
স্বাধীনতার র‌্যালি দেখতে ফুটপাতের দুই পাশে মানুষজনও ছিলো ব্যাপক। করতালি দিয়ে র‌্যালিকে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায় তাদের।
র‌্যালি শুরুর দুই ঘন্টা আগে থেকেই ফকিরেরপুল থেকে কাকরাইলের নাইটেঙ্গল রেঁস্তোরা মোড় পর্যন্ত তিল পরিমাণ ঠাঁই ছিল না। হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে র‌্যালি জনসমাবেশে রুপ নেয়। র‌্যালির অগ্রভাগ যখন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তখন শেষভাগ কাকরাইলের নাইটেঙ্গল মোড় অতিক্রম করেছিল।
বিএনপির র‌্যালি উপলক্ষে দুপুর ১টা থেকে নয়াপল্টনের সড়কে যান চালাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এজন্য মতিঝিল, কাকরাইল, শাহজাহানপুর, শান্তিনগরসহ বিভিন্ন সড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও এর আশপাশ এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
র‌্যালিতে পায়ে হেঁটে অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, শ্যামা ওবায়েদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরফত আলী সপু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, শামীমুর রহমান শামীম, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান,ঢাকা মহানগর উত্তরের আমিনুল হক, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম মাহতাব,শাহ নেসারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমূখ নেতারা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মোমাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.