নিজস্বপ্রতিবেদক: এখন বোরো আবাদের বীজতলা তৈরি ও লাগানো শেষে প্রাথমিক পরিচর্যার কাজ চলছে। বোরো ধান ঘরে না ওঠা পর্যন্ত অথবা দেশের বাইরে থেকে চাল আমদানি না হলে চালের দামের উর্ধ্বমূখী প্রবণতা কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না চাল ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, এই মাসে প্রতি বস্তায় চালের দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। যা কেজিপ্রতি দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে চালের দাম বেশি। সামনে ধানের দামের সঙ্গে চালের দামও আরও বাড়তে পারে।
রাজশাহী মহানগরীর বাজারে এখন ৮৪ কেজির আঠাশ চালের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪ হাজার ৬৫০ টাকা পর্যন্ত। ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে শুরু করে ২ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত। যা কেজি প্রতি খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা। মিনিকেট ৫০ কেজির বস্তা ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫৫০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ টাকা।
নতুন শরণা ৮৪ কেজির বস্তা ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকা। যা খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা। বাসমতি ৭০ থেকে ৭২ টাকা, কালিজিরা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, চিনিগুড়া ৯৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এর চেয়েও বেশি দরে কোন কোন ব্যবসায়ী চাল বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ আছে।
নগরীর সাহেব বাজারের এ.পি. চাউল ভান্ডারের মালিক বিটিসি নিউজকে বলেন, চাউলের বাজার বিভিন্ন জায়গায় নতুন পুরাতনের ওপর নির্ভর করে। এছাড়াও আমদানি ও চাহিদা মোটামুটি সমান চলছে। তবে দাম কমার কোন ইঙ্গিত নেই।
মেসার্স সততা চাল ঘরের মালিক বিটিসি নিউজকে বলেন, এখন চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং আরও বাড়তে পারে। ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে চালের দাম বেশি।
এদিকে, নগরীতে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্থি ফিরছে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) নগরীর সাহেববাজার, মাস্টারপাড়া, লক্ষীপুর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ২ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গত সপ্তাহে শিম, কাঁচা মরিচ, বেগুন প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এদিন বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। প্রতি পিস ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলির দাম ৫ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকা পিস।
এছাড়া টমেটো ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা। শাক প্রতি আঁটি ১৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া খেসারি শাক ৪০ টাকা ও বুটের শাক বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে।
সবজি বিক্রেতা বলেন, এখন সবজির আমদানি একটু বেশি। যার কারণে দাম কম। আর শুক্রবার আবহওয়া খারাপের কারণে অন্যান্য সপ্তাহের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যাও কম ছিলো। যার কারণে সবজির দাম দুপুরের পর অনেক কমে গিয়েছিলো।
মাছের মধ্যে বড় কাতলা ৬০০ থেকে ৮০০, নদীর পাঙ্গাস ৮০০, চিংড়ি ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, দেশি কৈ ৪০০ টাকা, চিতল ৫৮০ টাকা, বোয়াল ৬৫০, শোল ৫৩০ টাকা, ছোট ইলিশ ৪০০ টাকা, বড় ইলিশ ১ হাজার টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.