উ. কোরিয়ার সীমান্তের কাছে দ. কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়া

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের কাছে ভারী অস্ত্রসহ যৌথ সামরিক মহড়া করেছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন সেনারা। দেশ দুটি এই অঞ্চলটিকে ‘পারমাণবিক যুদ্ধের আগুন’-এর দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে বলে এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছে উত্তর কোরিয়া। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, শত্রু আগ্রাসনের ধরন অনুকরণ করে যুদ্ধ প্রস্তুতির পরীক্ষা এবং উন্নত করার জন্য লক্ষ্যে এই যৌথ মহড়া হয়েছে। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি অস্ত্র সজ্জিত পদাতিক ব্রিগেড এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া স্ট্রাইকার ব্রিগেড অংশ নেয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যৌথ এ মহড়ায় উভয় পক্ষের ১১০টিরও বেশিবড় যুদ্ধ অস্ত্র জড়িত ছিল। এরমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর ট্যাংক, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট আর্টিলারি এবং মার্কিন সামরিক যুদ্ধ বিমান এবং সাঁজোয়া যুদ্ধ যান ছিল।
২৯ ডিসেম্বর এই মহড়া শুরু হয়ে এক সপ্তাহ ধরে চলার পর বৃহস্পতিবার এটি শেষ হয়েছে।
কোরীয় উপদ্বীপে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই গত বছরে যৌথ মহড়ার মাত্রা এবং তীব্রতা নাটকীয়ভাবে বাড়িয়েছে মিত্র এই দেশ দুটি। কেননা, দক্ষিণ ও প্রশান্ত মহাসাগরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এমন দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং কৌশলগত অস্ত্র উভয় পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ং।
যুক্তরাষ্ট্র কোরীয় উপদ্বীপের কাছে একটি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন, বিমানবাহী রণতরী এবং বড় বোমারু বিমানসহ আরও সামরিক সম্পদ মোতায়েন রেখেছে।
ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শনিবার বড় অস্ত্র মোতায়েনের জন্য ওয়াশিংটনের সমালোচনা করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এসময় কোরিয়ার ‘দক্ষিণাঞ্চলকে শান্ত করতে’ উত্তরে পারমাণবিক অস্ত্রাগার এবং আক্রমণের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
উত্তর কোরিয়া যৌথ এ মহড়াকে ‘বেপরোয়া যুদ্ধের কৌশল’ বলে অভিহিত করেছে। দেশটি ওয়াশিংটনের আধিপত্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে উপহাস করেছে।
এক প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়ার সরকারী বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, ‘ সংঘাতের সর্বোচ্চ ঝুঁকির বছর হতে চলেছে ২০২৪ সাল।’
দেশটির নৌবাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী বুধবার পূর্ব, পশ্চিম এবং দক্ষিণের সুমদ্রসীমায় লাইভ ফায়ারিং ড্রিল এবং অ্যান্টি-সাবমেরিন কৌশল পরিচালনা করেছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.