উল্লাপাড়া ওসির হস্তক্ষেপে ৩ দিন পর খেঁয়া পারাপার স্বাভাবিক

উল্লাপাড়া প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক কুমার দাশ (পিপিএম) এর হস্তক্ষেপে ৩ দিন পর খেঁয়া পারাপার স্বাভাবিক হয়েছে। পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের ফুলজোঁড় নদীর কালিগঞ্জ খেঁয়াঘাটের নৌকা ৩ দিন বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছিল।

এই খেঁয়ায় অন্ততঃ নদীর দুপারের ১৫ টি গ্রামের ২ হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। কালিগঞ্জ খেয়াঘাটের ফুলজোঁড় নদী পার হয়ে সিরাজগঞ্জ শহর,জামতৈল,কামারখন্দ এবং উল্লাপাড়ার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের লোকজন চলাফেরা করে। অনেকটা ব্যস্ততম নৌকা ঘাট।

গতকাল শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উল্লাপাড়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক কুমার দাশ (পিপিএম) এর হস্তক্ষেপে খেয়াপার আবারও শুরু হয়েছে। এতে জনসাধারণের দীর্ঘ ভোগান্তির অবসান ঘটেছে।

কালিগঞ্জ খেয়াঘাটের ইজারাদার মোঃ রাজু আহমেদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, চর-কালিগঞ্জের লোকজন খেয়াঘাট ভাংচুর এবং খেঁয়া চলাচলে বাঁধা দিয়েছে । এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ৩ দিন যাবৎ আমরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে খেয়াপার বন্ধ রাখছিলাম, পুলিশের সহযোগিতায় আবারও খেঁয়া চালু করেছি।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক কুমার দাশ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, খেয়াপার বন্ধ থাকার বিষয়টি জানা ছিলো না পরবর্তী জানতে পেরে খেয়াপার আবারও শুরু করা হয়েছে।

খেঁয়া পারাপারে কেউ বাঁধা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গতঃ বুধবার (২০ অক্টোবর) সকালে চরকালিগঞ্জের মোঃ শাহাজ এর নেতৃত্বে আরিফুল ইসলাম লিটন, আমজাদ হোসেন, আলহাজ, আলতাফ, এরশাদসহ ১০/১৫ জন যুবক লাঠিসোঠা নিয়ে খেয়াঘাটে হামলা চালায়।

তারা খেয়াঘাট, ঘাটের মূল অফিসঘর, খেয়া নৌকা ও পাশের হাঁসের খামার ভাংচুর করে। এসময় বস্তায় ভরে খামার থেকে ৬ শতাধিক হাঁস নিয়ে যায় তারা। সবমিলিয়ে রাজুর ক্ষতির পরিমান দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। এই মর্মে উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে খেয়াঘাটের ইজারাদার মোঃ রাজু আহমেদ।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি মো: হারুনঅররশিদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.