উল্লাপাড়ায় আশ্বিনের বন্যায় ১০০০ হেক্টর রোপা আমন ধান পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত

উল্লাপাড়া প্রতিনিধি: ৪র্থ ধাপে চলছে মধ্য আশ্বিনে বন্যা। এখনো আবাদি মাঠজুড়ে অথই বন্যার পানি। এবারের বন্যা দীর্ঘ মেয়াদী। আশ্বিনের বন্যায় নতুন করে ১শ ৯৫ হেক্টরের জমির বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ অময়ের বন্যায় ১ হাজার ৫শ ৭৫ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দীর্ঘ মেয়াদি বন্যার কারণে প্রায় ৪ মাস ধরে মাঠের কাজে গ্রামীণ দিনমজুরদের চাহিদা নেই। বেশির ভাগ গ্রামীণ দিনমজুর বেকার রয়েছে। এসব চিত্র সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার।
উল্লাপাড়ায় এবার মৌওসুমের আগেই বন্যার পানি এসেছিল। আষাঢ়ের প্রথম দিকেই উপজেলার নীচু অঞ্চলের আবাদি মাঠ বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর ক’দফার বন্যার পানি বেড়ে উঁচু এলাকার মাঠগুলো তলিয়ে যায়। উপজেলার ১০ ইউনিয়নের আবাদি মাঠের জমি এখনো কম-বেশি বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে।
ইউনিয়নগুলো হলো, উধুনিয়া, মোহনপুর, বড়পাঙ্গাসী, বাঙ্গালা, কয়ড়া, সলঙ্গা,পুর্ণিমাগাতী, উল্লাপাড়া, দুর্গানগর, সলপ। বন্যা কবলিত এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, এবারের বন্যা দীর্ঘ মেয়াদী হয়েছে।
৩য় দফা বন্যার পানি কমার পর কয়েকটি ইউনিয়নের উঁচু মাঠের জমি থেকে বন্যার পানি নামতেই কৃষকরা রোপা আমন ধানের আবাদ শুরু করে কৃষক ।
কৃষি অফিস থেকে জানানো হয়, উপজেলায় প্রায় ৯ হাজার ১শ ২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে। এ ধানের আবাদে গ্রামীণ দিনমজুরদের কিছুটা স্বস্থি ফিরিয়ে এসেছিল। চলতি মধ্য আশ্বিনের বন্যায় ওই সব রোপা আমন ধান তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ।
কৃষি অফিস থেকে আরও জানানো হয়, আশ্বিনের বন্যায় এরই মধ্যে রোপা আমন, শীতকালীন সবজি ও মাসকলাই মিলে ১শ ৯৫ হেক্টরের ফসলের ক্ষতি হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১ হাজার ৫শ ৭৫ জন।
উপজেলা কৃষি অফিসার সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, তার বিভাগ থেকে মাঠ পর্যায়ে সার্বক খোজ খবর রাখা হচ্ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি মো: হারুন-অর-রশিদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.