উরসুলা ফের ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান হিসেবে মনোনীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জার্মান রাজনীতিক উরসুলা ভন ডার লিয়েনকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা ক্যালাসকে মনোনীত করা হয়েছে পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান হিসেবে।
সংস্থার শীর্ষ পদগুলোতে উপযুক্ত নেতৃত্ব বাছাইয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও সাবেক পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তাকে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান করার জন্য নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
ব্রাসেলসে শীর্ষ সম্মেলনের পর শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে  সংস্থার বর্তমান চেয়ারম্যান চার্লস মিশেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মিশন সম্পন্ন হয়েছে।
মনোনীত তিনজন প্রার্থীই সেই মধ্যপন্থী জোটের অংশ যারা ইইউ পার্লামেন্টে আধিপত্য বিস্তার করছে। আর কস্তা চলতি বছর মিশেলের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ভন ডার লিয়েন ও ক্যালাসকে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সমর্থন পেতে হবে। 
পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন পেলে আরও পাঁচ বছরের জন্য ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন উরসুলা। 
পার্লামেন্টের ভোটাভুটি আগামী জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হবে। চলতি মাসের নির্বাচনে ডানপন্থীদের উত্থানের পর এই নির্বাচনে কঠিন লড়াই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় মেয়াদে সমর্থন করার জন্য ইইউ নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ভন ডার লিয়েন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, সংসদের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে শিগগিরই নিজের রাজনৈতিক অগ্রাধিকারের রূপরেখা দেবেন তিনি।
এদিকে নিজেকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ‘ঐক্য প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ‘ ঘোষণা করে কস্তা বলেছেন, ইউরোপ ও বিশ্ব এখন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অতীতে তার সক্ষমতা দেখিয়েছে।’
ক্যালাস বলেন, তীব্র ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার সময়ে তাকে একটি বিশাল দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপে এখন যুদ্ধ চলছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা ক্রমেই বাড়ছে। সেটাও ইউরোপীয় পররাষ্ট্র নীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
কূটনীতিকদের মতে, এই তিনজনই ইইউ নেতাদের থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন। যদিও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি ভন ডার লিয়েনকে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন। কোস্টা ও ক্যালাসের বিপক্ষেও ভোট দিয়েছেন তিসি। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবানও ভন ডের লিয়েনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। এমনকি ভোট দেননি ক্যালাসকেও।
জার্মানির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ভন ডার লিয়েন ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান হিসেবে মনোনয়ন পান এবং নির্বাচিত হন। এর মধ্যদিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার গৌরব অর্জন করেন এবং সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের ঘনিষ্ঠ এই সহযোগী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.