উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত হবে না, খুলনায় ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাত সকাল আট টায়

খুলনা ব্যুরো: করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এবার উন্মুক্ত স্থানে বা মাঠে কোন ঈদের জামাত হবে না। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কাতারে দাঁড়াতে হবে। জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো যাবে না। করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পেতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এসব নির্দেশনা প্রদান করেছে।
এবারে  খুলনায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর-২০২০ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
ঈদ-উল-ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল আট টায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে। জামাতে ইমামতি করবেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ। একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত সকাল নয়টায় এবং তৃতীয় ও শেষ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া কোর্ট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে আট টায় একটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন মসজিদে সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে নিজেদের সময় অনুযায়ী ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জেলার সকল মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদের নামাজ আদায়ের সময়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কাতারে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার অন্তর এক কাতার করে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। মসজিদের অযুর স্থানে সাবান ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মুসুল্লিদের বাসা থেকে অযু করে এবং মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো যাবে না। মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করতে হবে এবং মুসুল্লিগণ বাসা থেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।
মসজিদের টুপি এবং জায়নামাজ ব্যবহার করা যাবে না। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি, অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পেতে নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করা হবে।
ঈদের দিন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও ভবনে সকালে যথাযথভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন  এবং সূর্যাস্তের পূর্বে নামানো হবে।
ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা বিশেষ অনুষ্ঠানমালা এবং স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।
ঈদে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মহানগর ও মহানগরের বাইরের বিভিন্ন স্পটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঈদুল ফিতরের সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, রাস্তা বন্ধ করে স্টল তৈরি, উচ্চস্বরে মাইক, ড্রাম বাজানো, রঙিন পানি ছিটানো এবং বেপরোয়াভাবে মটর সাইকেল চালানো যাবে না।
ঈদ উপলক্ষে রাস্তায় যত্রতত্র গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার টাঙালে রাস্তা সংকুচিত হয়ে দুর্ঘটনার আশংকা থাকে এবং শহরের সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়। এজন্য গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার টাঙানো যাবে না।
ঈদ-উল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সময় মুসল্লিদের অযুর জন্য সার্কিট হাউজ, টাউন জামে মসজিদ ও  কোর্ট মসজিদে খুলনা ওয়াসা মুসল্লিদের অযুর জন্য পানির ব্যবস্থা রাখবে।
যাকাতের একটি অংশের অর্থ সোনালী ব্যাংক খুলনা কর্পোরেট শাখার চলতি হিসাব নম্বর-৩৩০০০৮৩৫; ইসলামী ব্যাংক খুলনা শাখার চলতি হিসাব নম্বর-২১৫ এবং জনতা ব্যাংক খুলনা কর্পোরেট শাখার চলতি হিসাব নম্বর-৩৩০০৭৫৭ অথবা বয়রা খুলনার ইসলামিক ফাউন্ডেশরনর উপপরিচালক-এর নিকট সরাসরি প্রদান করা যাবে।
উপজেলা সমূহেও স্থানীয়ভাবে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.