উত্তাল ফ্রান্স, এবার মেয়রের বাড়িতে তাণ্ডব

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কোনোভাবেই থামছে না ফ্রান্সে সহিংসতা। টানা পঞ্চম রাতের মতো দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। আজ রোববার বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে মার্সেই শহরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রাতজুড়ে হামলাকারীরা প্যারিসের শহরতলির লহায়া-লেস-রোজেসের মেয়রের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। দেশটির স্থানীয় সময় রাত দেড়টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। সেই সময় ভিনসেন্ট জিনব্রুন তার অফিসে ছিলেন।
তবে এ সময় মেয়রের স্ত্রী এবং দুই সন্তান ঘুমিয়ে ছিলেন। অজ্ঞাত হামলাকারীরা তাদের বাড়ির গেট দিয়ে গাড়িতে করে হামলা চালায় এবং গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
বিবিসি বলছে, জিনব্রুনের স্ত্রী ও সন্তানেরা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ওপর আতশবাজি দিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে মেয়রের এক সন্তান আহত হয়েছে।
এ ঘটনাকে জিনব্রুন হত্যাচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। দেশটির পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আলজেরীয় বংশোদ্ভূত ১৭ বছর বয়সী তরুণ নাহেল মেরজুকের মৃত্যুর পর গত মঙ্গলবার থেকেই ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, শনিবার রাতেই অন্তত ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া চলমান সহিংসতা শনিবারেই ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে প্রায় ৪৫ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত চার দিনে অন্তত ২৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার মধ্যে শুক্রবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় ১৩১১ জনকে।
ফ্রান্সের বিচার মন্ত্রী বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৩০ শতাংশেরই বয়স ১৮ বছরের কম।
গত মঙ্গলবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের নানতেরে এলাকায় নাহেল এম নামের ওই তরুণ গাড়ি চালিয়ে যাবার সময় ট্রাফিক পুলিশ তাকে থামতে বলে। সে না থামলে পুলিশ খুব কাছে থেকে তাকে গুলি করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ অফিসার একটি গাড়ির চালকের দিকে বন্দুক তাক করে আছে। এর পর একটি গুলির শব্দ শোনা যায় এবং তারপর গাড়িটি থেমে যায়। বুকে গুলিবিদ্ধ নাহেলকে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। গুলিবর্ষণকারী অফিসারটিকে হত্যার অভিযোগে আটকও করা হয়। ওই দিনের পর থেকেই অগ্নিগর্ভ ফ্রান্স। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.