উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার দু’নেতা বৈঠকে বসলেন

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন মাত্র চার সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় বারের মতো দু-ঘন্টাব্যাপী এক বৈঠক করেছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যেকার সম্ভাব্য শীর্ষ বৈঠকটি যাতে হতে পারে তা নিয়ে দু পক্ষই যখন চেষ্টা করছে, তার মধ্যেই এ বৈঠক।

শীর্ষ বৈঠকটি কিভাবে সম্ভব করা যায় তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে দু নেতার মধ্যে – বলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দফতর।

আগামি ১২ই জুন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠেয় ওই শীর্ষ বৈঠকটি গত বৃহস্পতিবার বাতিল করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প – কিন্ত শুক্রবার তিনি বলেন, দু পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে এবং বৈঠকটি হয়তো হতেও পারে।

মি. মুন রোববার সকালে উত্তর কোরিয়ার নেতার সাথে তার বৈঠকের ফলাফল জানাবেন, বলেছে তার দফতর।

দুই কোরিয়ার সীমান্তের মাঝখানে অসামরিক এলাকা পানমুনজমে এই বৈঠক হয়।

দীর্ঘ কয়েক দশকের বৈরিতার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ দুই কোরিয়ার নেতাদের মধ্যে এনিয়ে মুখোমুখি বৈঠক হয়েছে মাত্র চার বার।

সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিবাদ জানায় উত্তর কোরিয়া এবং তার পর থেকে দুদেশের মধ্যে কোন কথাবার্তা হয় নি।

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচিকে নিয়ন্ত্রণে আনার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্যে শনিবারের এই বৈঠক এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে আভাস পাওয়া যায় যে দুই কোরিয়া একসাথে কাজ করার একটা পথ বের করতে চায়।

সমস্যা হচ্ছে কোরিয়া উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারটিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া ভিন্ন ভিন্ন ভাবে দেখছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা চান উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি এবং অস্ত্রগুলোর পুর্ণ বিলুপ্তি।

কিন্তু উত্তর কোরিয়া বলছে, তাদের পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করার বিনিময়ে ওয়াশিংটনকেও সমতুল্য কিছু একটা করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বড় আকারের সামরিক উপস্থিতি আছে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায়। উত্তর কোরিয়া আশা করছে যে এর মাত্রা কমানো হবে, এবং এই নিশ্চয়তা দেয়া হবে যে রাষ্ট্র হিসেবে তার অস্তিত্ব এবং তাদের নেতৃত্ব কখনোই বিপন্ন হবে না।

কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা সমাধানের কর্মপন্থা হিসেবে লিবিয়া মডেলের উল্লেখ করার পর উত্তর কোরিয়া ক্ষিপ্ত হয়।

লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফি তার পরমাণু কর্মসূচি ত্যাগ করার কয়েক বছর পর পশ্চিমা-সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতেই নিহত হন। (সূত্র:বিবিসি) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.