উত্তরবঙ্গের একমাত্র নারী দোতারা বাদক নাটোরের পলিকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন

নাটোর প্রতিনিধি: মহিমা খাতুন পলি (২২)। প্রতিভাবান দোতারা বাদক শিল্পী পলি বর্তমানে সরকারি সংগীত কলেজ ঢাকায় অধ্যায়নরত। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন প্রতিভাবান যন্ত্রশিল্পী পলি।
তার মা মর্জিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, জীবনে কিছু চাইনি। তেমন অর্থবিত্ত নেই। শুধু চেয়েছি আমার মেয়েটা গানের মধ্যে বেঁচে থাকুক। সেই মেয়ে আজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পলির অবস্থা আর একটু খারাপ হলেই তাকে ফেরানো সম্ভব হবে না।মূলত জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন পলি। ডেক্সগু টেস্ট করালে রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। তবে জ্বর না কমায় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে পলি।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পলির মা বলেন, শারমিনের রক্তের সেল ক্রমেই নষ্ট হচ্ছে। তার শরীরে নতুন করে রক্ত উৎপাদন হচ্ছে না বলেই দিন দিন অবস্থা খারাপ হচ্ছে। গত ১৫ দিন হাসপাতালের বেডে একই অবস্থায় পড়ে আছে। কোনো উন্নতি হচ্ছে না। আগামী দুই দিন যদি শারমিনের অবস্থার উন্নতি না হয় তাহলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা নিয়ে যেতে হবে। তবে এজন্য যত অর্থের দরকার তা তার কাছে নেই। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন। তবে এজন্য যত অর্থের দরকার তা তার কাছে নেই।
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা স্বামী পরিত্যক্তা মা মর্জিনা বেগমের একমাত্র মেয়ে পলি। অনেক কষ্টে পলিকে বড় করেছেন মা। ছোটবেলা থেকে গানবাজনার প্রতি তার অনেক ঝোঁক। দোতারা বাদক হিসাবে পলির প্রথম হাতেখড়ি দিয়েছেন বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিয়মিত দোতারা বাদক ও কণ্ঠশিল্পী ওস্তাদ মিজানুর রহমান ভুট্টু। কম সময়ে দোতরা বাজিয়ে সংগীতঙ্গনে পরিচিতি লাভ করে। চলতি মাসের ২০ তারিখে শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারণে পলি ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, পলি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত। তাই দ্রুত হাসপাতলে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকার হাসপাতাল গুলিতে ডেঙ্গু রোগীর উপচে পড়া ভিড় থাকায় ওস্তাদ মিজানুর রহমানের সহযোগিতায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে পলিকে নাটোরে নিয়ে আসা হয়। চলতি মাসের ২১ তারিখে নাটোর সদর হসপিটালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারপর থেকে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। উত্তরবঙ্গের একমাত্র তরুণী, দোতারা বাদক মহিমা খাতুন পলির চিকিৎসা খরচ চালানো তাঁর দরিদ্র পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
পলির মা মর্জিনা বেগম বলেন, পলির বাবা থেকেও নেই ! অনেক আগেই আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন । পৈতৃক সূত্রে পাওয়া কিছু জমিতে চাষাবাদ করে যৎসামান্য যা আয় হয় তা দিয়ে আমাদের মা মেয়ের জীবন চলতো। রোজগার করার মতো পরিবারের আর কোন সদস্য নেই। কোন রকমে চলছিল পলির লেখাপড়ার খরচ। এর মধ্যে চিকিৎসা ব্যয় চালাতে গিয়ে আমি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। চিকিৎসা ব্যয় চালানোর মতো আর্থিক সঙ্গতি আমার নেই । মেয়েটাকে বাঁচাতে আপনারা সকলেই সহযোগিতা করুন।
ওস্তাদ মিজানুর রহমান ভুট্টুর বলেন, আমার সাধ্য অনুযায়ী পলিকে সু-চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।এখন দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের, তরুণ উদীয়মান এই বাদ্যশিল্পীকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
তার চিকিৎসাব্যয় বহন করে ইতোমধ্যে পরিবারটি সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। স্বল্প সময়ে চিকিৎসা না হলে তার জীবন প্রদীপ নিভে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসার জন্য সমাজের স্বচ্ছল মানুষদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন অসহায় পরিবারটি। হৃদয়বান ব্যক্তিরা তার পাশে দাঁড়ালে তিনি আবার সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:
মহিমা খাতুন পলি
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, পি,এস,সি শাখা,আগারগাঁও ঢাকা।
ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার ০১১০৭০১০০৮৫৫৯
বিকাশ নাম্বার ০১৭৩৫ ৭৩৭ ৬০৬
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.