উজিরপুরে ২ সন্তানের জননীর বিষপান পরিবারের দাবী হত্যা

উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২ সন্তানের জননীকে জোরপূর্বক বিষপান করিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৩ ডিসেম্বর আজ রোববার ময়না তদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার উপজেলার ধামুরা গ্রামে স্বামী জসিম হাওলাদারের নীজ বাড়ীতে বিকেল ৩ টায় বিষপান করেছে। নিহতের পরিবার সুত্রে জানায় উপজেলার শোলক ইউনিয়নের ধামুরা গ্রামের শাহালম হাওলাদারের ছেলে জসিম হাওলাদার(৩২) এর সাথে একই গ্রামের মৃত শামসুর হক বেপারীর মেয়ে ফাতেমা বেগমের ১১ বছর পুর্বে সামাজিক ভাবে বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে আলিফ(১০),কাওছার(৩) দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। তাদের জীবন ভালই কাটছিল।

কিছুদিন পূর্বে শশুরের নিকট থেকে পুত্র বধু ফাতেমা বেগম জমি বসত বাড়ীর ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করার জন্য মায়ের কাছ টাকা এনে দেয় কিন্তু শশুর টাকা নিয়ে ফাতেমার নামে সাবরেজিষ্ট্রি দলিল না দিয়ে তার ছেলেকে দানপত্র দলিল লিখে দেয়। এ নিয়ে ফাতেমার সাথে শশুর বাড়ীর লোকজনের সাথে কলহের সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল ৩ টায় ঘরের মধ্যে আটকে রেখে শশুর শাহালম,শাশুরী হাফিজা বেগম,ভাষুর জুয়েল হাওলাদার ও তার স্ত্রী রুমা খানম মিলে জোরপূর্বক বিষপান করিয়ে হত্যা করেছে। পরে স্থানীয়রা মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক গত ২২ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটায় তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন এবং লাশ ময়না তদন্ত করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী জানান আমি বাড়িতে ছিলাম না। তবে আমার পিতা-মাতার সাথে জমি-জমা নিয়ে আমার স্ত্রীর ঝগড়া বিবাদ হয়েছে শুনেছি। এ কারনেই আমার স্ত্রী অভিমান করে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের মাতা নুরজাহান বেগম জানান আমার মেয়েকে আমি জমি ক্রয়ের জন্য টাকা দিয়েছি এবং আমি নিজে টাকা দিয়ে পাকা ভবন করে দেই কিন্তু সেখানে তার শশুর বাড়ীর লোকজন থাকতে দেইনি। ঐ ভবন ও জমি ক্রয় বাবদ দেয়া নগদ অর্থ আত্মসাৎ করার জন্যই আমার মেয়ের শশুর,শাশুরী,ভাষুর ও তার স্ত্রী মিলে তাকে বিষপান করিয়ে হত্যা করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নী তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.