উজিরপুরে যুবককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা চেষ্টার ঘটনার আসল রহস্য ফাঁস

উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশাল জেলার উজিরপুরে এক যুবককে কুপিয়ে ও গুলি করে ব্র্রীজ থেকে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টার আসল রহস্য ফাঁস হয়েছে। যেন থলের বিড়াল বেরিয়ে এলো।
সূত্রে জানা যায়, ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ৩ টার দিকে উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের পশ্চিম রামেরকাঠী গ্রামের মৃত অনিল চন্দ্র হালদারের ছেলে অসিম চন্দ্র হালদার (৩২)কে জুনিয়র বাজারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মৃত অভূনি ভ‚ষণ বাড়ৈ এর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা ও কুড়লিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি,কুড়লিয়া জুনিয়র বাজারের সভাপতি অচিন্ত্য বাড়ৈসহ ৫ জন মিলে হামলা চালিয়ে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে অসীম চন্দ্র হালদার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ঘটনাটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল করে।
১২ মার্চ রবিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঘটনার রাতে জুনিয়র বাজারে কোন হামলার ঘটনা সংগঠিত হয়নি বলে জানান ব্যবসায়ী, পাহারাদারসহ স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে অসীম চন্দ্র হালদারের সাথে হাসপাতালে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
জুনিয়র বাজারের পাহারাদার বাবু বাড়ৈ জানান, এরকম কোন হামলার ঘটনা দেখিনি ও শুনিনি।
বাবুল জানান, রাতে পাহারাদার ছিল, কোন ঘটনা ঘটলে তারাতো জানত। গ্রাম পুলিশ ও বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিব শংকর বলেন, এটা নাটক ছাড়া আর কিছুই না।
অচিন্ত্য বাড়ৈ’র মা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের উর্মিলা বাড়ৈ জানান, আমার ছেলে অচিন্ত্য বাড়ৈ ঘটনার দিন মামাবাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলার বটবাড়ি গ্রামে ছিল। মূলতঃ আমার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদের প্রার্থী হওয়ায় আমার ছেলের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য মিথ্যা নাটক সাজিয়ে বিভিন্ন মহলে অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের সাময়িক হয়রানি করছে। অ
চিন্ত্য বাড়ৈ জানান, আমি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ তৌহিদুজ্জামান সোহাগ বিটিসি নিউজকে জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনার বিন্দুমাত্র সত্যতা পাওয়া যায়নি এবং থানায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আ: রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.