উজিরপুর প্রতিনিধি:বরিশালের উজিরপুরে হতদরিদ্রের জন্য বরাদ্দ করা ঘর, ভিজিডির চাল, ত্রাণের টিন ও নগদ অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়ন পরিষদের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড মহিলা ইউপি সদস্য সীমা বেগম(৩৬), সরকারি ত্রাণের টিন, নগদ অর্থ, ভিজিডি কার্ডের চাল আত্মসাৎ এবং প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নিজের নামে নিয়েছে।
২নং ওয়ার্ডের মোঃ মন্নান মোল্লার স্ত্রী শিপন বেগমের কাছে সরকারি ১ বান্ডেল টিন দেয়ার কথা বলে ইউপি সদস্য সীমা বেগম নগদ ৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর উজিরপুর উপজেলা থেকে শিপন বেগম তার নামের সরকারি টিন বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সুচতুর মহিলা ইউপি সদস্য ভ‚ল বুঝিয়ে টিন নিয়ে যায়।
এমনকি শিপন বেগমের নামের ভিজিডির চাল আত্মসাত করে নিজেই ভক্ষন করছেন এবং ওই এলাকার হতদরিদ্র মোঃ সালাউদ্দিন মোল্লার স্ত্রী প্রতিবন্ধী আম্বিয়া বেগমকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেয়ার কথা বলে ১ লক্ষ টাকা দাবী করে। টাকা না দিতে পাড়ায় মহিলা ইউপি সদস্য সীমা বেগম নিজের নামে সরকারি ঘর লুফে নিয়ে প্রতিবন্ধীর ভোগদখলীয় জমিতে ঘর উত্তোলন করেন।
এ ঘটনায় ২২ মার্চ দুপুরে প্রতিবাদ করতে গেলে অসহায় পরিবারের উপর হামলা চালায় ইউপি সদস্য’র বাহীনিরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছে বাবলু মোল্লা, ইয়ামিন মোল্লা ও বেবী বেগম। আহতরা বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ২৪ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী শিপন বেগম।
প্রতিবন্ধী আম্বিয়া বেগম বিটিসি নিউজকে জানান, মেম্বারের লোকজনরা আমাদের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী দিচ্ছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সীমা অভিযোগের বিষয়ে স্বীকার করে বলেন আমি গরীব হওয়ায় নিজের নামে ঘর ও ত্রানের টিন নিয়েছি এবং ভিজিডির চাল ভাগাভাগি করে নেয়ার কথা ছিল বিধায় আমি চাল উত্তোলন করে নিয়ে থাকি। তবে হুমকীর বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন বিটিসি নিউজকে জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.