উজিরপুরে প্রধান শিক্ষক ও দুই সহকারী শিক্ষিকার অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নে ১২২ জন খোলনা শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দুই শিক্ষিকার অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
১৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের মাঠে প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার মৃধা, সহকারী শিক্ষিকা হাসিনা আক্তার ও হাসিনা মমতাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি, পকেট কমিটি গঠন, নিয়মিত স্কুলে না আসা ও কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করার পায়তারার অভিযোগে তাদের অপসারণের দাবীতে দাতা সদস্য, অভিভাবক অভিভাবকসহ এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহন করেন দাতা সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন খান, রফিকুল ইসলাম খান, অভিভাবক সদস্য রফিকুল ইসলাম সরদার, রাব্বি সিকদার, ফিরোজ সিকদার, সুমন মৃধা, আশ্রাফুল বেপারীসহ এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে অভিভাবক রফিকুল ইসলাম সরদার জানান, প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার মৃধা অত্র স্কুলে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক ইতিপূর্বে স্কুলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি টানায়নি। অনেক আন্দোলন ও লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরে অবশেষে ছবি টানিয়েছেন। কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রধান শিক্ষক নিজের ফায়দা হাসিল করার জন্য দুই শিক্ষিকাকে নিয়ে বিভিন্ন ফন্দি করে নিজেদের খেয়াল খুশিমত সভাপতি নির্বাচিত করার জন্য গত ১৩ মার্চ সকালে স্কুল সভাকক্ষে বৈঠক করেছিলেন। টের পেয়ে অভিভাবক, দাতা সদস্য ও স্থানীয়রা জড় হলে এক পর্যায়ে সভাপতি নির্বাচন পন্ড হয়।
এছাড়াও প্রধান শিক্ষক ও উল্লেখ্য দুই শিক্ষিকা নানা অজুহাতে প্রায়ই স্কুলে হাজির হন না। তার উগ্র মেজাজ ও হেয়ালিপনার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৩০/৩৫ জন। দিন দিন শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। এর প্রতিবাদ ও অভিযুক্তদের বিচারের দাবীতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তিনি।
এছাড়াও রফিকুল ইসলাম সরদার আরো অভিযোগ করে বলেন, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উজিরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাসলিমা বেগমের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছি না। ওই অফিসার প্রতিটি অভিযোগের বিষয়ে কালক্ষেপন ও নানা তালবাহানা করেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার মৃধা জানান, অভিভাবক সদস্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। সভাপতি নির্বাচিত করা নিয়ে এলাকায় দ্বন্ধ হওয়ার কারণে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে গিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকা হাসিনা আক্তার ও হাসিনা মমতাজ বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাসলিমা বেগম জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ তৌহিদুজ্জামান সোহাগ জানান, মিছিলের খবর পেয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য পর্যন্ত পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বিক্ষুব্দরা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার মৃধা, সহকারী শিক্ষিকা হাসিনা আক্তার ও হাসিনা মমতাজের দ্রুত অপসারণের দাবী জানিয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আ: রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.