উজিরপুরে গভীর রাতে বসতঘরে হামলা বৃদ্ধাসহ আহত-২

উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুরে গভীর রাতে বসতঘর ভাংচুর, স্বর্নালংকার লুট ও বৃদ্ধাসহ ২ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে জমি দখলের পায়তারা চালিয়েছে প্রভাবশালীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায় উপজেলার শোলক ইউনিয়নের রামেরকাঠী গ্রামের মৃত জব্বার আলী বেপারীর স্ত্রী সালেহা বেগম(৭৫) দলিলকৃত জমিতে চাষাবাদ করে ৩০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছে। ওই জমিতে ১ বছর পূর্বে স্বামী হারা অসহায় বৃদ্ধা সালেহা বেগম টিনের চালা দিয়ে বসতঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছে। উক্ত জমি নিয়ে একই এলাকার প্রভাবশালী মনির তালুকদার গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ওই বৃদ্ধার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মনির তালুকদার(৩৩), মজিবর রহমান তালুকদার(৫০), রুবেল কিবরিয়া, তহমিনা বেগম, ময়না বেগমসহ ২০/২৫জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মিলে ৮ জানুয়ারী শনিবার রাত আড়াইটার সময় বসতঘর ভাংচুর করে ভিতরে প্রবেশ করে বৃদ্ধা সালেহা বেগম ও তার নাতী মোঃ আজিজুল বেপারীকে পিটিয়ে আহত করে নগদ ২ লক্ষ টাকা, ১ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন প্রজাতির রোপিত চারাগাছ কেটে তছনছ করে পরবর্তীতে এলাকা ছাড়া করে জমি দখল করে নেবে বলে হুমকি দেয়।
ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয় মাছের ঘেরের কর্মচারী কাওছার হোসেন, সজল, নিহার তাদেরকে উদ্ধার করে এবং ৯৯৯ এ ফোন করে জানালে তাৎক্ষণিক ভাবে ওই রাতে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এদিকে আহত বৃদ্ধা সালেহা বেগম ও তার নাতি আজিজুল বেপারী উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ৯ জানুয়ারী রবিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ওই জমি সালেহা বেগম গংরা ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করে আসছে। স্থানীয় আউয়াল তালুকদারের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, বিধান মন্ডলের স্ত্রী রেখা রানী মন্ডল, আউয়াল তালুকদার, সেকান্দার আলী তালুকদারসহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন উক্ত জমি সালেহা বেগম ও তার ছেলে মোঃ সেকান্দার বেপারী গংরা ৩০ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছে। এমনকি ১ বছর পূর্বে ওই জমিতে টিনের চালা দিয়ে বসতঘরে বসবাস করে আসছে।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী সালেহা বেগম বাদী হয়ে ৯ জানুয়ারী উল্লেখ্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উজিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সকালে উজিরপুর মডেল থানার এস,আই এনামুলসহ একদল চৌকস পুলিশ পুনরায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অভিযুক্ত তহমিনা বেগম বিটিসি নিউজকে জানান, সেকান্দার বেপারী গংরা নিজেই বসতঘর ভাংচুর করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ বিটিসি নিউজকে জানান, প্রভাব খাটিয়ে কেউ অন্যের জমি দখল করতে পারবে না। তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়ের পক্ষে আইনি সহায়তা দেয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.