উজিরপুরে কাজের মহিলাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করেছে প্রভাবশালীরা

উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাজের মহিলাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করেছে প্রভাবশালীরা। হতদরিদ্র নারীর উপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আহত ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায় উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের হস্তিশুন্ড গ্রামের এনায়েত হোসেন হাওলাদারের নাবালক ছেলে মোঃ আলি হোসেন(৭) একই এলাকার বাদল হাওলাদারের ছেলে আব্দুল্লাহ(১০)সহ ৪/৫জন শিশু মিলে ১৬ জুলাই বেলা সাড়ে ১১ টায় বাগানে খেলাধুলা করতে গিয়ে একপর্যায় আব্দুল্লাহ তার সহপাঠিদেরকে আলি হোসেনের গায়ে প্রসাব করে দিতে বলে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হয়।
ডাকচিৎকার শুনে আলি হোসেনের মাতা রাশেদা বেগম(৩৫) ঘটনাস্থল ছুটে এসে শিশুদেরকে ঝগড়া বন্ধ করতে বলে এবং গায়ে প্রসাব করা ভালনা এরকম আচরন আর কখনো না করার নিষেধ করেন।
বিষয়টি জানতে পেরে আব্দুল্লাহর বড় ভাই লালু হাওলাদার(২৫) ও তার পিতা বাদল হাওলাদার(৪৫) ঘটনাস্থল এসে ক্ষিপ্ত হয়ে আলি হোসেনের মাতা রাশিদা বেগম(৩৫) কে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয়রা আহত গৃহবধুকে উদ্ধার করে উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে ঘটনার দিন উজিরপুর মডেল থানায় আহত গৃহবধু বাদী হয়ে উল্লেখ্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা বিষয়টি এড়িয়ে যায়। আহত গৃহবধু রাশেদা বেগম জানান প্রভাবশালী বাদল হাওলাদার ও তার বখাটে ছেলে লালু হাওলাদার মিলে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে আহত করেছে। এমনকী আমার নাবালক ছেলে আলি হোসেনকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার করার হুমকী দিয়েছে মাদকসেবী লালু হাওলাদার। সে এলাকায় মাদক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক‚-কর্মের সাথে জড়িত রয়েছে। আমার স্বামী ষ্টোক করে বিছানায় পারে আছে। আমি অন্যের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ঝিয়ের কাজ করে দুমুঠো আহার যোগাচ্ছি। সরলতার সুযোগ নিয়ে আমাদের এলাকা থেকে উৎখাত করার জন্যই হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে ও লাথি, ঘুষি দিয়ে আমাকে বেহুস করে ফেলেছে।
মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ বিটিসি নিউজকে জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ওই হামলাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন আহত’র পরিবার।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.