উজিরপুরের বাহেরঘাটে অসহায় পরিবারের জমি দখলের মিশনে সাবেক ইউপি সদস্য

প্রতীকী ছবি
উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের বাহেরঘাট গ্রামের অসহায় সৈজদ্দিন বেপারী, রুনু বেগম ও করিম হাওলাদারের দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় জমি জোর পূর্বক রাতের আঁধারে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে দখল করে বাহেরঘাট ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান মোল্লা ও তার দুই ছেলে জাকির হোসেন মোল্লা, তরিকুল ইসলাম ও জামাতা ইউসুফ মোল্লা মিলে ছোট টিনের ঝুপড়ি ঘর তৈরী করে দখলের চেষ্টা চালায়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী করিম হাওলাদার জানান, আমরা বাহেরঘাট এলাকার যুগ যুগ ধরে ভোগ দখলীয় ও রেকর্ডীয় মালিক মজনু হাওলাদারের নিকট থেকে ১৯৯৭ সালে হুমায়ুন ও রুনু ০৬ শতাংশ, আমি ১২ শতাংশ মোট ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে ঘরবাড়ি তৈরী করে গাছপালা রোপণ করে ভোগ দখল করে আসছি। সেই মোতাবেক উজিরপুর সেটেলমেন্ট অফিস ৩০ ধারায় ২৮/০৪/২০১৮ সালে তৎকালীন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার যাচাই বাছাই শেষে আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করে।
অপরদিকে সাবেক ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান মোল্লার দুই ছেলে জাকির হোসেন, তরিকুল ইসলাম মোল্লা ও জামাতা ইউসুফ মোল্লা ভ‚য়া ওয়ারিশদের কাছ থেকে ২০১৪ সালে আশ্রাফুল হকের স্ত্রী নয়ন তারার ওয়ারিশ দাবী করে গফুরের পুত্র আব্দুর রশিদ একটি একতরফা ডিগ্রি মূলে মালিক সেজে তার ওয়ারিশদের নিকট থেকে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে এলাকার শান্তির পরিবেশকে অশান্ত করে তোলে।
প্রকৃতপক্ষে মূল মালিক আশ্রাফুল হক মজুমদার ১৫/০৩/১৯৩৪ সালে তার একমাত্র ঔরসজাত পুত্র জহুরুল হক মজুমদারকে ৪নং উইলপত্র অনুযায়ী স্থাবর অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি উইল করে দেন। উক্ত উইলপত্রে আরো উল্লেখ থাকে যে, আশ্রাফুল হক মজুমদার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে নয়নতারা বেগমকে বিবাহ করলে ওই সংসারে কোন সন্তানাদি না থাকায় জহুরুল হক মজুমদার তার বিমাতা নয়নতারা বেগমকে যতদিন জীবিত থাকবেন ততদিন ভরণ পোষণের দায়িত্ব বহন করবেন। তবে তিনি কোন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ওয়ারিশ হবেন না। তার পরেও নয়নতারা বেগমের পূর্বের স্বামী হেলাল উদ্দিনের সংসারে ২ ছেলে তোরাব আলী ও গফুর এবং ৪ কন্যা ছিলেন।
গফুরের পুত্র আঃ রশিদ একটি একতরফা ৫১/০১ নং ডিগ্রির মাধ্যমে সম্পত্তির মালিক বনে যান। আঃ রশিদের ওয়ারিশের কাছ থেকে জাকির, তরিকুল ও ইউসুফ মোল্লা জমি ক্রয় করেন। শুধু তাই নয় এ ডিগ্রি রায়ের বিরুদ্ধে উজিরপুর সহকারী জজ আদালতে ২০১১ সালে এস,এম শহিদ বাদী হয়ে একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করেন যার মোকদ্দমা নং-১৩১/১১। ওই মোকদ্দমায় বিজ্ঞ বিচারক সহকারী জজ মোঃ জাকারিয়া উক্ত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্ব স্ব দখল অনুযায়ী শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
তা সত্তেও ইউসুফ মোল্লা গংরা জমি ক্রয় করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। এমনকি মজনু হাওলাদারের ভাই পিরোজপুর জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারকে জড়িয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার ও তার সম্মান হানিকর কাজে লিপ্ত রয়েছেন। উক্ত জমির সাথে আঃ কুদ্দুস হাওলাদারের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আঃ করিম হাওলাদার, সৈজদ্দিন বেপারী ও রুনু বেগমসহ ভুক্তভোগীরা অবৈধ পেশি শক্তি অন্যায় অত্যাচার ও টাকার প্রভাব হতে রেহাই পাওয়ার জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.