উজিরপুরের গরুচোর বিমানবন্দর থানায় গ্রেফতার

উজিরপুর প্রতিনিধি: উজিরপুরের গরুচোর এয়ারপোর্ট থানায় গ্রেফতার। গ্রেফতারকৃত উজিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শিকারপুর গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত হীরালাল শীলের ছেলে গরু ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র শীল (৪২), ধামসর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের মৃত আঃ খালেক বেপারীর ছেলে লিটন বেপারী (৪০), একই এলাকার মৃত বিভাস হালদারের ছেলে মিন্টু হালদার(৩৫)কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।
এ সময় তাদের স্বীকারোক্তি অনযুাযী চোর চক্রের মূল হোথা ধামসর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের মোশারফ হাওলাদারের ছেলে মাসুম হাওলাদারের নাম তারা স্বীকার করে।
ইয়ারপোর্ট থানা সূত্রে জানা যায়, এয়ারপোর্ট থানাধীন মঙ্গলহাটা গ্রামে সরব আলী কাজীর ছেলে ইউনুস আলী কাজী ২টি গরু লালন পালন করতেন। গত ২২ অক্টোবর রাতে গোয়ালঘর থেকে গরুদুটি চোরচক্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এর পর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ অক্টোবর রাত ১১ টায় এয়ারপোর্ট থানার রামপট্টি এলকার দোয়ারিকা ব্রীজের পূর্ব পাশে ২জন ব্যক্তি গরু নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পায়। এদের কাছে গরুর মালিক ইউনুস আলী গরু কোথায় পেয়েছে জিজ্ঞেস করলে তারা ক্রয় করেছে বলে জানায়।
এ সময় এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ৩জন ব্যক্তিকে গরুসহ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় আটককৃত ব্যক্তিরা তাদের চোরাইকৃত গরু উজিরপুর থানার ধামসর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের মোশারেফ হাওলাদারের ছেলে মোঃ মাসুম হাওলাদার (৪২) এর ফার্মে আরো অনেক চোরাই গরু রয়েছে বলে জানায়।
এ ব্যাপারে ১ নভেম্বর এয়ারপোর্ট থানায় ৪জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে গ্রেফতারকৃত গোপাল চন্দ্র শীল, লিটন বেপারী, মিন্টু হালদারকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় এবং মাসুম হাওলাদার পলাতক রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে উজিরপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের গাছ ব্যবসায়ী সবুজ বেপারীর ২টি গর্ভবতী গরু চুরি হয়।
উজিরপুর উপজেলা থেকে প্রায় অর্ধ শতাধিক গরু চোরচক্র চুরি করে পালিয়ে যায় বলে এলাকাবাসী জানায়।
এয়ারপোর্ট থানার নবযোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন বিটিসি নিউজকে জানান, দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চোরচক্র প্রচুর গরু নিয়ে পালিয়ে যায়। অবশেষে এই চোরচক্রকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। পলাতক চোরচক্রের মূলহোথা মাসুম হাওলাদারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.