বিটিসি জীবন যাপন ডেস্ক: দেশি ঘি বহু শতাব্দী ধরে বাঙ্গালিদের খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আয়ুর্বেদে একে ‘অমৃত’ বলা হয়, আর আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানও আজ এর পুষ্টিগুণ স্বীকার করে নিয়েছে।
তবে ঘি নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি ও ভুল ধারণাও প্রচলিত আছে।
কেউ মনে করেন, উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগীদের খাদ্যতালিকা থেকে ঘি পুরোপুরি বাদ দেওয়া উচিত; আবার অনেকে বিশ্বাস করেন, ঘি যেহেতু ভালো ফ্যাট, তাই কোলেস্টেরল থাকলেও এটি খাওয়া যায়।
তাহলে বিশেষজ্ঞরা আসলে কী বলছেন? চলুন, জেনে নিই।
ঘিতে কী থাকে
ঘি মূলত স্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ; এর প্রায় ৬০–৬৫% অংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এছাড়া এতে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, ডি, ই, এবং সিএলএ, যা প্রদাহ কমায় এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে ধরা হয়।
উচ্চ কোলেস্টেরলে ঘি খাওয়া যাবে কি না
ঘিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকায় উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত ব্যক্তিদের এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা বলেন, পুরোপুরি বাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। যদি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে দিনে দুই থেকে তিন চা চামচ ঘি খাওয়া হয়, তবে তা ক্ষতিকর নয় বরং উপকারীও হতে পারে। তবে কারোর কোলেস্টেরলের মাত্রা যদি খুব বেশি হয়, তাহলে ঘি খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
১। কোলেস্টেরল রোগীরা দিনে ২–৩ চা চামচের বেশি ঘি খাবেন না।
২। স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত অন্যান্য তেল ও খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন।
৩। সম্ভব হলে মহিষের ঘির পরিবর্তে গরুর ঘি বেছে নিন—এটি তুলনামূলকভাবে হালকা।
৪। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সেবন করলে, ঘি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
পরিমিত পরিমাণে ঘি শরীরের জন্য উপকারী, কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। #

















