উইঘুরদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে টোকিওতে বিক্ষোভ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর চীন সরকারের ব্যাপক দমন-পীড়নের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ চলছে।
এরই অংশ হিসেবে শনিবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর পক্ষে বিক্ষোভ করেছে সেখানকার একটি মানবাধিকার সংগঠন। খবর ভারতীয় সংবাদ সংস্থা-এএনআইয়ের।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর উত্তর-পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের রাজধানী উরুমকিতে একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ হারান প্রায় ১০ জন। ২১তলা পর্যন্ত আগুনের ধোঁয়া পৌঁছে যায়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ভবনটি ছিল লকডাউনের আওতায়। এ কারণেই তারা সেখান থেকে বের হতে পারেনি।
এ মৃত্যুতেই ফুঁসে ওঠে চীন। দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে কঠোর লকডাউনকে দায়ী করে জনগণ। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি খানিকটা কম হলেও তিন বছর পরও এর প্রাদুর্ভাব চীনে বেড়ে চলছে। দীর্ঘদিন দেশটিতে চলছিল কঠিন লকডাউন। পরে গণবিক্ষোভের মুখে লকডাউন তুলে নিতে বাধ্য হয় চীন সরকার।
এদিকে আগামী ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আরও এমন বিক্ষোভ প্রতিবাদের আয়োজন করেছে এ মানবাধিকার গ্রুপটি।
কঠোর লকডাউন ‘জিরো কোভিড নীতির’ আওতায় থাকার পরও চীনে রেকর্ড পরিমাণ করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আর এ নীতিতে জনজীবন হয়ে ওঠে অতিষ্ঠ।
অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে। দুইয়ে মিলে আগে থেকে ক্ষিপ্ত ছিলেন নাগরিকরা। সেই আগুনেই ঘি ঢালে এই ভবন অঘটন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং প্রায় এক যুগ আগে ক্ষমতায় আসেন। জিন পিং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর চীনে এ ধরনের বিক্ষোভ দেখা যায়নি। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কঠোর নিয়ম-নীতি আরোপ করায় তার সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন সাধারণ জনগণ।
১৯৮৯ সালে তিয়ান আনমেন স্কয়ারে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের পর থেকে চীনে সংঘটিত সবচেয়ে বড় বিপ্লবগুলোর মধ্যে একটি এ গণবিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং কমিউনিস্ট পার্টির পদত্যাগ চেয়ে সাংহাই শহরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.