ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের অধ্যাক্ষ ও উপধ্যক্ষ লাঞ্ছিত হওয়ার ৪টি কারন
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি: ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের অধ্যাক্ষের সাথে ছাত্র লীগের বিবাদমান ঘটনার এক অনুসন্ধান চালিয়ে ৪টি কারন উঠে এসেছে।
অামাদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইস্যু ৪টির মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে( ১) ইসলামী ইতিহাস বিভাগের ইনকোর্স ভর্তি পরীক্ষা যারা দেয়নি তাদের পুন: পরীক্ষা ফাইন। ২১ জন ছাত্র দেয়নি। এতে ছাত্র লীগের ছেলেরা ১৬ জন ছাত্র -ছাত্রীদের পুন:ফি মাপ করাইছে।
অপরদিকে পুন:ফি ছাড়া ৩ জন ছাত্রের নিকট জড়িমানা সহ পুন: অাদায় করে ছাত্র লীগ। অধ্যাক্ষ তা জানতে পেরে তাদের টাকা ফেরত দেয়।
(২)অতিসম্প্রতি সরকারী কলেজ অভ্যান্তরে সরকারী টেন্ডারে ৭টি গাছ বিক্রি হয়।সেই টেন্ডারে যথা নিয়মে গাছ ৭টি পায় ছাত্র লীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি। টেন্ডারে পাওয়া গাছের মধ্য থেকে অারো একটি অতিরিক্ত প্রায় লাখ টাকা মুল্যের মেহগনি গাছ কেটে নেয় ঐ নেতা। সেই অতিরিক্ত গাছটি কেটে তার বাসার ফার্নিচার তৈরি করেছে বলে সংশ্লিষ্ট কলেজ সুত্রে জানা গেছে। সুত্রটি অারো জানায় অতিরিক্ত গাছটি কেটে নিয়ে ঐ ছাত্রলীগ নেতা পুন:রায় অধ্যাক্ষের উপর দায় চাপায় মেহগনি গাছটি কি হয়েছে।
(৩) কলেজে ডবমেটারীতে কেন অধ্যাক্ষ অবস্হান করে এবং কেন টয়লেটে নিজের ব্যাবহারের জন্য কমোট লাগিয়েছেন। তার হিসাব দিতে হবে বা চায় ছাত্রলীগে ঐ নেতা।
(৪) কলেজের সংলগ্ন সংশ্লিষ্ট জমি সংক্রান্ত কমিটি কেন নতুন করে করা হয়েছে? ছাত্রলীগের সাথে কোন অালোচনা ছাড়া। সেই নতুন কমিটিতে কোন কারনে কার সাহসে হিসাব বিঙ্গান বিভাগের খন্দকার সিরাজুল ইসলাম মুরাধ কে বাদ দেওয়া হয়েছে তার জবাব চেয়েছে ছাত্রলীগ নেতারা।
অপরদিকে এই অনুসন্ধানে বেরিয়ে অাসে অারো চান্চলকর তথ্য একাধীক সুত্র থেকে পাওয়া তথ্যে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানা গেছে, অধ্যাক্ষ ড অাব্দুল সবুর যোগদানের পরের দিন হিসাব বিঙ্গান বিভাগের শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম মুরাধ, যে কিনা সম্প্রতি নারী কেলেংকারিতে পাবনা এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতারিত হয়ে অাসা এই শিক্ষক জনৈক একজন জমির দালাল কে সাথে নিয়ে অাসে অধ্যাক্ষ সাথে সাক্ষাৎ করেন।সেই সাক্ষাতে এই অনৈতিক শিক্ষক সরাসরি অধ্যাক্ষকে বলেন এই জমিটি কলেজের পক্ষে জরুরি ভিক্তিতে অধিগ্রহন করলে ২০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। যা কিনা জমির মালিক পাবে ১০ কোটি টাকা। বাকী ১০ কোটি টাকা অধ্যাক্ষ সহ অন্যান্যরা ভাগবাটোয়ারা পাবে।
সংশ্লিষ্ট কলেজের হিসাব বিঙ্গান বিভাগের অনৈতিক শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম মুরাধের দেওয়া এই প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করে মহামান্য হাই কোর্টের অাইনি লড়াইয়ের কথা বলেন অধ্যাক্ষ।
অধ্যাক্ষ বলেন হাইকোর্টের “সলিসিটোর ” অফিসের মাধ্যমে এ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের মামলার কাগজ পত্র প্রেরন করেন। উপরোক্ত উল্লেখিত বিষয়টির কারনে উক্ত অনৈতিক শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম মুরাধ ও ঈশ্বরদীর প্রভাবশালী একটি স্বার্থনেষি মহল এই অধ্যাক্ষের উপর ক্ষিপ্ত হয়।
স্বার্থনেষি ঐ প্রভাবশালী সরকারের শেষ মেয়াদ কালে এই স্বার্থনেষি মড়িয়া হয়ে অাদালতে মামলা চলাকালিন জমিটির অধিগ্রহন করানোর জন্যে এই মহলটি ত্যপর হয়ে অধ্যাক্ষ ও ভুমি গ্রহন কমিটির শিক্ষকদের উপর এই নির্যাতন শুরু করেছেন বলে অামাদের অনুসন্ধানে উঠে অাসে এসব তথ্যাদি।#
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.