ঈশ্বরদী টিটিই হেডকোয়ার্টারে অনিয়ম-দূর্নীতির আখড়ায় (SRI) মাবুদ যত অপকর্মের প্রধান হোতা

ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার: ঈশ্বরদী টিটিই হেড কোয়ার্টারে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিস্তার অভিযোগ। এ সব অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্যে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি চাকরিতে না যেয়ে ভুয়া মাইলেজ উঠানো সহ নানা অনিয়মের বিষয়ে  ধারাবাহিকতা লেখার—(২য় পর্ব)।
ঈশ্বরদী টি টিই হেডকোয়ার্টারের এস আর আই(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুল মাবুদের পরোক্ষ সহযোগিতায় দুর্নীতি অনিয়ম ও তার কর্মময় জীবনে বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরিতে যে সমস্ত অপকর্মের সাথে সাম্প্রতিক কালে জড়িত ছিলেন। যাহা প্রথমার্ধেই সি. এন. এস লিমিটেড এর অপারেটর হিসেবে রেলওয়ের চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে চাকুরী শুরু করেন। পরবর্তীতে সি. এন. এস লিমিটেড- এ চাকুরী সুবাধে রেলওয়ে তৎকালীন সময় ডেপুটি সিসিএম এর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে অনৈতিকভাবে টিসি গ্রেড-২ পদে চাকুরী লাভ করেন বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়।
তাছাড়া এই দুর্নীতি ও অনিয়মের গড ফাদার আব্দুল মাবুদ চাকুরী জীবনে প্রথমে জয়পুরহাট স্টেশনে টিসি গ্রেড-২ হিসেবে পদায়ন হন। এবং কর্মজীবন শুরু করেন। জয়পুরহাট স্টেশনে চাকুরী শুরু করার সাথে বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত হওয়ার দরুন তার নিয়ন্ত্রণকারী দপ্তর (ডিসিও/পাকশী) হতে তদন্ত করে অনিয়মের প্রমানিত হওয়ায় সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেন।
তাতে এই সু-চতুর মোঃ মাবুদ সুকৌশলে উর্দ্ধতন কতিপয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে বদলী ও পদায়ন লাভ করে।এরপর মাবুদ কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে টিসি গ্রেড-২ পদে চাকুরীর দরুন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটান। অর্থ্যাৎ কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে বিনা টিকিটের  যাত্রীদের নিকট অবৈধভাবে ভাড়া আদায় করে তা সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে এবং মালামাল বুকিং করে সঠিক হিসাব খাতায় লিপিবদ্ধ না করে সরকারী অর্থ আত্মসাতের জড়িত থাকায় তিনি তার নিয়ন্ত্রণকারী দপ্তর হতে পুনরায় বরখাস্ত হন।
পরবর্তীতে আবারও এই সু-চতুর মাবুদ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পুনরায় বদলী ও পদায়ন লাভ করে। টিসি গ্রেড-২ পদ হতে জুঃটিটিই পদে পদোন্নতি পরীক্ষায় যোগসাজস করে মাষ্টাস ডিগ্রীধারী টিসিদের সাথে পদোন্নতি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং মাবুদ ৪র্থ স্থান অর্জন করে যা দুর্নীতি ছাড়া সম্ভব নয় বলেও সুত্রটি জানিয়েছে।
এদিকে পদোন্নতি পাওয়ার পর রাজশাহী হেড কোয়ার্টারে (জেআরআই) হিসাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ লাভ করে।  রাজশাহীতে জেআরআই কর্মরত থাকা অবস্থায় রাজশাহী টিটিই হেড কোয়ার্টার দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিনত হয়েছিল। সেখানে (জেআরআই) থাকা কালীন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাকে মিথ্যা তথ্য প্রদান সহ অনিয়মের কারণে বরখাস্ত এবং শাস্তি প্রাপ্ত হয়।
পরবর্তীতে ঈশ্বরদীতে বদলী হয়ে কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এস আর আই (ভারপ্রাপ্ত) ঈশ্বরদী’র মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব পালনের সুযোগে (টিটিই হেড কোয়ার্টার)কে দুনীতি ও অনিয়মের আখরায় পরিনত করে ফেলেছে ।
নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একাধিক (টিটিই) ও (টিসি) বিটিসি নিউজকে জানান, এই দুর্নীতির বরপুত্র মোঃ মাবুদ অবৈধভাবে কতিপয় টিটিইকে দ্বারা দিনের পর দিন ব্লক চেকিং করান।
বিগত এক বছরের দাপ্তরিক মাইলেজ ভাতা, হাজিরা খাতা, স্বাক্ষর খাতা এবং হাজিরা ‘রেজিষ্টার পর্যবেক্ষণ করলে বেড়িয়ে আসবে দুর্নীতির থলের বিড়াল। অপরদিকে ডিউটি রোষ্টার অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের নিয়ম থাকলেও সুকৌশলে তা এড়িয়ে নিজ ইচ্ছা মাফিক পক্ষ পাতমূলক অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ডিউটি প্রদান করে থাকে বলেও সুত্রটি জানান।
হেড কোয়ার্টারের কতিপয় টিটিই গণ গন্তব্যের শেষ স্টেশনে না গিয়ে মাইলেজ ভাতা দাবী করলে তিনি তা দৃষ্টিগোচর না করে স্বাক্ষর করে দেন এই সু-চতুর মাবুদ। এতে করে অবৈধ মাইলেজের পথ সুগম হয় এবং প্রচুর সরকারী রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের। গত ১ বছরের মাইলেজ ভাতা পর্যবেক্ষণ করলে বিষয়টি পরিস্কার জানা যাবে সরকারের কত লক্ষ ‌টাকা খতি করেছে এই চতূর মাবুদ।
অপরদিকে নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক টিটিইগণ ডিউটি রোষ্টার অনুযায়ী ট্রেনে কর্তব্য পালনের সুযোগ লাভ করতে পারে ?
অথচ এই সু-চতুরকে ম্যানেজ করে কতিপয় টিটিই কষ্টের ট্রেনে কর্তব্য পালন হতে বিরত থাকে। দুর্নীতিবাজ  মোঃ আব্দুল মামুদ তার এই পদের প্রভাব খাটিয়ে তার নিজ ইচ্ছামত কার্যকম পরিচালনা করে আসছে। তার অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে কোন টিটিই কথা বললেই তাকে অন্যত্র বদলী সহ নানা ধরনের মৌখিক হুমকি প্রদান করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে ঈশ্বরদী টিটিই হেডকোয়ার্টারে চাপা ক্ষোভ বিরাজমান রয়েছে। যাতে করে যে কোন মুহুর্তে  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিবাদী অন্যন্য টিটিই দের সাথে ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তবে এব্যাপারে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রধান হোতা আব্দুল মাবুদের ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
অপর এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে একই দপ্তরের  জনৈক টি সি হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অতি সম্প্রতি বড়াল ব্রীজ ষ্টেশনে নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা। এই টি সি নাকি দুর্নীতি বাজ মাবুদের বুদ্ধি দাতার প্রধান সমন্বয়ক সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি সূত্রে জানা যায়। তবে বড়াল ব্রীজের সেই নারী কেলেঙ্কারির বিষয়টি ঈশ্বরদী জি আর পি থানার জনৈক এক দারোগার মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হয় বলে সুত্রমতে জানাযায়।
তাছাড়া ঈশ্বরদী হেড কোয়ার্টারেও ডিউটি রোষ্টার নিয়মিত প্রেরণ না করা, টিটিইগণ গন্তব্যের শেষ স্টেশনে না গিয়ে পূর্ণাঙ্গ মাইলেজ ভাতা উত্তোলন, টিটিইগণ পথিমধ্যে নেমে যাওয়া, নিজ হস্তে মানি রশিদ স্বাক্ষর করা ইত্যাদি বিষয়  মাবুদ প্রতিস্বাক্ষর পূর্বক ডিসিও অফিসের ডিলিং ক্লার্ক কে অবৈধ সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে ম্যানেজ করে উক্ত অনৈতিক কার্যক্রম খুব সহজে সম্পাদন করে যাচেছ।
পাকশী ডিসিও অফিসের ডিলিং ক্লার্ক টিটিই অফিসের এসমস্ত অনিয়ম ও দুর্নীতি গুলি তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে অবগত না করে সুকৌশলে মাবুদকে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ থেকে জানা যায়। উপরোক্ত বিষয়গুলো তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছে ভুক্তভোগী অনেকেই।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার মোময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.