ঈশ্বরদীর আলোচিত দিপা আত্মহত্যাকে অন্য দিকে প্রভাবিত করার অভিযোগ নিহতের স্বজনের

ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার: পাবনার ঈশ্বরদীতে আলোচিত দিপা আত্মহত্যাকে অন্য দিকে প্রভাবিত করার অভিযোগ নিহতের স্বজনের। দিপার মৃত্যুর দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলেও এখনও মূল রহস্য উন্মোচন হয়নি। ঘটনার সত্যতা ধামাচাপা দিতে নানান দিকে মোড় নিচ্ছে দিপার আত্মহত্যার মূল রহস্য।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, দিপা আত্মহত্যার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন, আলো জেনারেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডাঃ শফিকুল ইসলাম শামীম। এবং দিপার আত্মহত্যাকে পরিবার ও স্বজন হত্যা করেছেন বলে দোষ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, ঈশ্বরদীর আলো জেনারেল হাসপাতালের কর্মচারী মোছা. দিপা খাতুনের ঝুলন্ত মৃতদেহ গত ২৬ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকাল ১১ টায় তার মামার বাড়ির শয়ন কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী। মৃত্যুর পর থেকেই দীপার পরিবার পরিজন ও এলাকাবাসী দাবি করে আসছেন, দীপার আত্মহত্যা রহস্যজনক, এবং তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় দীপার স্বজনরা আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে চাইলে গ্রহণ না করে সময় ক্ষেপন করে থানা কতৃপক্ষ। পরবর্তীতে দিপার স্বজনরা আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান খান বিটিসি নিউজকে জানান, বর্তমানে মামলাটি পিবিআই এর অধীনে চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে মূল রহস্য জানা যাবে। 
এদিকে অসচ্ছল পরিবারের মেয়ে, আলো জেনারেল হাসপাতালের ৮ হাজার টাকার বেতনের কর্মচারী দীপা ৭০ লাখ টাকার ঋনের বোঝা নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে কতিপয় ব্যাক্তি প্রচার করে। এ নিয়ে এলাকায় দীপার আত্মহত্যা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। পরিবার ও এলাকাবাসী দিপা আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে দোষীদের দ্রুত শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে এই মামলা প্রত্যাহার করানোর জন্য আসামী পক্ষের লোকজন নানা মুখী চাপসৃষ্টি করছে বলে দিপার পরিবার থেকে অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য, এই আলো জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার আব্দুল হাকিম সম্প্রতি ঈশ্বরদীর তছেড় পাড়া এলাকার জনৈক এক কলেজ পড়ুয়া নারীর সাথে অবৈধভাবে দৈহিক মিলনের মাধ্যমে ঐ নারী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি  জানাজানি হলে ডাক্তার শামীম সহ ম্যানেজার আব্দুল হাকিম বিষয়টি দ্রুতধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঐ নারীর বাবাকে ১ লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জনৈক ঐ ছাত্রীর বাবা ছিলেন ঈশ্বরদী ষ্টেশনের একজন কুলির সরদার। খুশির সরদার মোঃ টায়জুল ইসলাম সাথে কথা বললে তিনি বিটিসি নিউজকে বলেন, ডাক্তার শামীম ও ম্যানেজার আমার কন্যার জীবন নষ্ট করেছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন ওদের শাস্তি হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার মো: ময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.